এবারের আইপিএলে ‘ফিনিশার’ ভূমিকায় দুর্দান্তভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন।শেষ কয়েকটা বছর আইপিএলে ব্যাট হাতে একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না।
তা নিজে মুখেই স্বীকার করে নিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) প্রাক্তন তারকা তথা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (আরসিবি) নয়া ‘সুপারহিরো’ দীনেশ কার্তিক।
মঙ্গলবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ২৩ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসের পর কার্তিক বলেন, ‘এই বছরে নিজের প্রতি সুবিচার করার জন্য সচেতনভাবে চেষ্টা করেছি। গত বছরে আমি কিছুটা ভালো করতে পারতাম বলে মনে হচ্ছিল।
(চলতি বছর) আমি যেভাবে প্রস্তুতি সেরেছিলাম, সেটা কিছুটা আলাদা ছিল। যাঁর সঙ্গে আমি অনুশীলন করেছিলাম, তাঁকে ধন্যবাদ। তিনি আমায় যা করিয়েছিলেন, সেটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
যিনি বাংলার খেলোয়াড় শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে কার্যত হারা ম্যাচে ব্যাঙ্গালোরকে জয় এনে দিয়েছেন। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।
অথচ ২০২০ সাল এবং গত বছরের আইপিএলে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি কার্তিক। সম্ভবত অধিনায়কত্বের বাড়তি বোঝায় নুইয়ে পড়েছিলেন।
২০২০ সালে আইপিএলের মাঝপথে কেকেআরের অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তারপরও পারফরম্যান্স তেমন ভালো হয়নি। ২০২০ সালে ১৪ ম্যাচে মাত্র ১৬৯ রান গড়েছিলেন। গড় ছিল ১৪.০৮।
গত বছর আইপিএলে পারফরম্যান্সের গ্রাফ কিছুটা উঠলেও কার্তিকের মতো খেলোয়াড়ের নিরিখে তা আহামরি ছিল না। ২০২১ সালের আইপিএলে ১৭ ম্যাচে ২২৩ রান করেছিলেন। গড় ছিল ২২.৩।
লেগ স্পিনাররা তাঁর কাছে ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ফ্লাডলাইটে লেগ স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলতে রীতিমতো সমস্যায় পড়ছিলেন। অফস্পিনারদের হেলায় খেলে দিলেও লেগ স্পিনারদের জালে ফেঁসে আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। গুগলি ধরতে পারছিলেন না কার্তিক। সঙ্গে চোটের সমস্যাও ছিল।
২০২২ সালের কার্তিকের পারফরম্যান্স
এবারের আইপিএলে তিনটি ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলেছেন। ‘ফিনিশার’ ভূমিকায় দুর্দান্তভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন। তিন ম্যাচে ইতিমধ্যে ৯০ রান করে ফেলেছেন। তিন ম্যাচেই অপরাজিত ছিলেন। স্ট্রাইক রেট ২০৪.৫৫।