নবাব গেঞ্জীর কমার্শিয়াল বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করে সেদিনের সেই ছেলেটি আজ টলিউড চলচ্চিত্র মহলের সুপারস্টার। শুধু তাই নয় দেশে বিদেশের অবাধ বিচরণ তাঁর। সবাই তাঁকে এক নামে চেনে। তিনি কত মেয়ের যে রাতের ঘুম কেড়েছেন তা বলা বাহুল্য। কি অবাক হচ্ছেন তো! কে সেই সুদর্শন পুরুষ ভাবছেন তো! এখনও বুঝতে পারছেন না কার কথা বলছি!
যিনি কিনা আমার আপনার সবার প্রিয় “নাটের গুরু” অভিনেতা জিৎ। যিনি ২০০২ সালে পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর পরিচালিত ‘সাথী’ সিনেমাতে অভিনয় করে প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র মহলে নিজের মুখ দেখান, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে ওঠেন প্রতিটি রমণীদের ক্রাশ।
তারপর আস্তে আস্তে হয়ে ওঠেন টলিউডের সুপারস্টার। এখনও অব্দি প্রচুর সিনেমায় কাজ করেছেন জিৎ। তাঁর শেষ সিনেমা হল, “শেষ থেকে শুরু”। তবে তিনি যেমন অভিনয়ের প্রতি দায়িত্বশীল তেমনি, দায়িত্ববান নিজের পরিবারের প্রতিও। ২০১১ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী লক্ষৌ শহরের একজন স্কুল শিক্ষিকা মোহনাকে বিবাহ করেন জিৎ।
মোহনা পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। এরপর ঠিক এক বছর পরেই ২০১২ তে জন্ম হয় তাঁদের আদরের কন্যা সন্তান নবন্যার। তাঁকে নিয়ে মাঝে মাঝেই সমাজমাধ্যমে অবতীর্ণ হন নায়ক।
কিছুদিন আগেই নিজেদের ১০ বছরের বিবাহ-বার্ষিকীতে স্ত্রী আর মেয়ের সঙ্গে একান্তে কাটানোর মিষ্টি মুহূর্তের ছবি নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছিলেন নায়ক। ১০ বছর তাঁর দাম্পত্য জীবন কেটে গেলেও তাদের মধ্যে সেই প্রথম দিনের মতোই ভালোবাসা বর্তমান। মোহনাও ভীষণই সাদামাটা জীবন যাপন করেন, কিছুদিন আগেই স্বামীর মঙ্গলকামনায় করবা চৌথ করেছিলেন তিনি।
তবে অভিনেতাদের জীবনে মাঝে মধ্যেই নানান রকম গসিপ উঠে আসে, ২০০৮ সালে স্বস্তিকার সঙ্গে জিতের ভালোবাসার নানা রকম গুঞ্জন উঠে এসেছিল, শোনা গিয়েছিল যে স্বস্তিকাকে বিয়ে করছেন জিৎ। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র রটনা!
তবে মোহনা লাইম লাইটের থেকে শতহস্ত দূরে থেকে শুধুই তাঁর মন নিজের স্বামী সন্তানের যত্ন। তবে মোহনা খুব সুন্দরী, কোনও নায়িকার থেকে কম নন৷ তবে কোনও দিন স্ক্রিনে আসেননি তিনি৷
হিরোর স্ত্রী হওয়া তো চারটিখানি কথা নয়৷ কাজের সময় থেকে শুরু করে নানা রকমের রিপোর্ট, অভিনেতা জীবনের সব ভাল-খারাপ মেনে নিতে হয় তাঁর স্ত্রীকে৷ এইভাবেই চলছে জিত-মোহনার সুখী দাম্পত্য জীবন।