টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেকেই আছেন যারা বহু স্ট্রাগল করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। শূন্য থেকে শুরু করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ তেমনই এক অভিনেতার কথা জানাব আপনাদের।
বাংলা কমার্শিয়াল সিনেমার পরিচিত ও জনপ্রিয় এক মুখ সুপ্রিয় দত্ত। অনেক সিনেমায় তাকে নায়ক বা নায়িকার বাবা হিসেবে অভিনয় করতে দেখা গেছে। ২০০৬ সালে।
সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘হারবার্ট’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তার ইন্ড্রাস্টিতে ডেবিউ হয়। এরপরে ২০০৮ সালে রাজ চক্রবর্তীর‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ সিনেমায় অভিনয়ের পর তাকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি।
এক প্রত্যন্ত গ্রামের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম সুপ্রিয় দত্তের। অভাব ছিলো তাদের নিত্যসঙ্গী। ছোটবেলায় তিনি পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলেন। অভাবের কারণে ছোটবেলায় তাকে বাবার সাথে বসে চপ বিক্রি করতে হয়েছে।
সংসার চালানো তার বাবার পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বাবাকে সাহায্য করতেন। সুপ্রিয় মেধাবী হওয়ায় তার বাবা-মার স্বপ্ন ছিল তিনি পড়াশোনা শেষ করে একটা ভালো চাকরি জোগাড় করে সংসারের হাল ধরবেন। কিন্তু সুপ্রিয়র মন ঝুঁকে ছিল অভিনয়ের দিকে।
একসময় অবশেষে পড়াশোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি কলকাতায় চলে আসেন অভিনয় জগতে প্রবেশ করার জন্য। বিভিন্ন নাটক ও থিয়েটারের দলে কাজ করার মাধ্যমে তিনি অভিনয় শিখতে থাকেন।
রাজ চক্রবর্তীর কমার্শিয়াল সিনেমায় অভিনয় তার কাছে এক বিশাল বড় সুযোগ ছিল। ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘লে ছক্কা’, ‘দুই পৃথিবী’-র মতো একাধিক সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। মজার চরিত্র হোক বা রাশভারী দুই চরিত্রেই তিনি সমানভাবে অভিনয় করে গেছেন।
বর্তমানে ‘ড্রাকুলা স্যার’ সিনেমায় অভিনয়ের পর ‘বিজয়ার পরে’ সিনেমার প্রস্তুতিতে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়াও জি বাংলার ধারাবাহিক ‘সর্বজয়া’-তে এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তাঁকে দেখা যাবে। টলিউডের প্রায় সব উল্লেখযোগ্য পরিচালকের সঙ্গে কাজ করে তিনি যে নিজের জায়গা তৈরী করে নিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য।