‘সহবাস’ নাকি ‘বিয়ে’? নুসরত-নিখিলকে নিয়ে চূড়ান্ত রায় দিল আদালত

টলিউডের একসময়ের তারকাদম্পতি ছিলেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) ও নিখিল জৈন (Nikhil Jain)। তবে সেসব এখন অতীত কারণ দুজনের বিয়ের সম্পর্কের মাঝেই এসেছিল প্রশ্ন চিহ্ন।

‘স্বামী’ নিখিলের সাথে ‘বিয়ে’টাই অস্বীকার করেছিলেন অভিনেত্রী নুসরত। সেই কারণে অ্যানালমেন্ট অফ ম্যারেজ আইনে নুসরতের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন নিখিল। দীর্ঘদিন তারিখ পে তারিখ চলার পর আজ প্রকাশ্যে এল মামলার রায়।

গত বছরেই নিখিলের থেকে আলাদা হয়ে যান নুসরত। থাকতে শুরু করেন যশ দাসগুপ্তের সাথে। এরপর যশের সাথে ঘনিষ্ঠতার গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে সবত্র।

এমনকি মা হবার ঘোষণা করেন অভিনেত্রী, যদিও সন্তানের বাবার পরিচয় প্রথমে প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। নিখিলও সন্তানের বাবা হবার সম্ভাবনাই নেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন।

শেষে ২৬শে অগাস্ট ঈশানের মা হন নুসরত। এরপরে ফাঁস হয় ঈশানের পিতৃ পরিচয় জানতে পারা যায় যশ দাসগুপ্তই অভিনেত্রীর সন্তানের বাবা।

এসবের মাঝে বিয়ে অস্বীকার করায় করতে মামলা চলতে থাকে নিখিল ও নুসরতের মধ্যে। যদিও মামলার শুনানির সময় নিখিল উপস্থিত থাকলেও বারেবারে শারীরিক অসুস্থতা ও কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত থেকেছেন নুসরত।

অভিনেত্রীর দাবি তাদের বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রেশন হয়নি তাই বিয়েটাই হয়নি। তবে নিখিলের মতে, নুসরতের সাথে ভবিষ্যতেও কোনো সম্পর্কই রাখতে চাই না। তাই ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় অ্যানালমেন্ট করে আলাদা হতে চাই।

আজ সেই মামলার শুনানির তারিখ ছিল। আর মামলায় শেষ পর্যন্ত জিতে গেলেন নিখিল জৈন। অর্থাৎ নুসরত জাহানের গর্ভবতী হবার আগেই যে দেওয়ানি মামলা করেছিলেন নিখিল সেই মামলায় শেষ হাসি হাসলেন নিখিল জৈন।

নিখিলের মতে, ‘যেদিন জানতে পেরেছিলাম নুসরত আমার সাথে থাকতে চায় না, অন্য কারোর সাথে থাকতে চায় সেদিনেই দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছিলাম। নুসরতের মা হবার পর এই সিদ্ধান্ত নিইনি’।

প্রসঙ্গত, নিখিলের সাথে বিয়ে অস্বীকার করার পরেই সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন নুসরত জাহান। নেটিজেনদের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।

এমনকি মা হবার খবরেও শুরুতে বারবার পিতৃ পরিচয় জানতে চেয়ে ট্রোল করা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। বর্তমানে যশ দাশগুপ্ত ও ছিল ঈশানকে নিয়েই থাকছেন নুসরত জাহান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*