জন্ম নেওয়ার পর সন্তানের কাছে মাতৃদু;গ্ধ অমৃত সমান ৷ চিকিৎসকরা বলেন, শিশু ভূ;মিষ্ঠ হওয়ার পর তাঁকে মাতৃদু;গ্ধ পান করাটা বড্ড জরুরি ৷
আর সেই দু;ধের জোরেই সুস্থ জীবনের দিকে এগিয়ে চলে শিশু ৷ এমন করে মা ও তাঁর সন্তানের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে ৷
টেলিভিশন একটি বা দুটি সরকারি বিজ্ঞাপন ছাড়া উচ্চ বাচ্য তেমন হয় না বললেই চলে ৷ ‘স্ত;ন্যদান’নিয়ে কথা বলা যেন কী ভীষণ গর্হিত কাজ ৷
তবে মাঝে মধ্যে কোনও মহিলা যদি প্রকাশ্যে স্ত;ন্যদান করেন তবে রে রে করে আসে সমাজের বেশ কিছু মানুষ ৷ তবে সব কিছুর খারাপ দিক যেমন আছে ৷ তেমন আছে ভাল দিকও ৷
‘স্ত;ন্যদান’ নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে ৷ বিশ্বের বেশ কিছু ডাকসাইটে মহিলা তা প্রমাণ দিয়েছেন ৷ গত বছরের জুন মাস নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদীয় কক্ষে নিজের সন্তানকে স্ত;ন্যদান করে নজির গড়েছিলেন ৷
এ বার নজির গড়লেন বাংলার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ৷ সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনের জন্য তিনি ফোটোশুট করিয়েছেন ৷ যেখানে এক শিশুকে স্ত;ন্যদান করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে ৷
সেই ছবিটি প্রকাশ পেয়েছে ৷ আসলে অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহটি হল ‘স্ত;ন্যদান’ সপ্তাহ ৷ আর ‘স্ত;ন্যদান’ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা ভাঙতেই এমন অগ্রসর হলেন শ্রীলেখা ৷
এই ছবি সামনে আসার পর প্রশংসার জোয়ারে ভেসেছেন তিনি ৷ তবে, সমালোচনার ঝড়ও কিন্তু কম হয়নি ৷ কটাক্ষের সুরে তারা অভিনেত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন ৷ বলেছেন,পাবলিসিটির জন্যই নাকি এমনটা করেছেন শ্রীলেখা ৷
এ সম্পর্কে তাঁর কী মত জানতে চেয়ে শ্রীলেখাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘স্ত;ন্যদানের পক্ষপাতী আমি ৷ আর আমার সন্তান জন্মানোর অনেক আগে থেকেই এ নিয়ে আমি পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছিলাম ৷ সমাজ অনেক এগিয়ে এসেছে ৷ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাধারা বদলাচ্ছে ৷ সেই কারণেই এই শুটে হ্যাঁ করেছি ৷’’
একনাগাড়ে বলে চলেন তিনি, ‘‘বেশ করেছি ৷ আমি মনে করি ভাল কাজ হয়েছে এটা ৷ আর আমি কারও মতামত জানতে চেয়ে কাজ করি না ৷ মনে হয়েছে কাজটা ভাল তাই করেছি ৷
যাদের নোং;রা ভাবনা নিয়ে বসে আছে, তারা নোংবা ভাববেই ৷ তাতে তো আর সমাজ থমকে থাকবে না ৷ আমি মনে করেছি এটার মাধ্যমে একটা ভাল বার্তা পৌঁছনো যাবে ৷ তাই করেছি’’
Leave a Reply