ফেসবুক হোক বা ইনস্টাগ্রাম, সময় পেলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড করতে ওস্তাদ অভিনেত্রী নিয়া শর্মা। আজকের যুগে ট্রেন্ড মেনেই পান থেকে চুন খসলেই ট্রোলড হতে হয়।
খোলামেলা পোশাকের জেরে হামেশাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং-এর মুখে পড়েন অভিনেত্রী নিয়া শর্মা। অনেক সময়ই সেই কটূক্তি মারাত্মক আকার ধারণ করে।
ইনস্টাগ্রামে নির্যাতনের হু;মকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ‘এক হাজারো মে মেরি বহনা হ্যায়’ খ্যাত এই টেলিভিশন তারকাকে। তাঁর পোশাক পরার ধরনকে অনেকেই অশ্লীল বলে কটাক্ষ করেছেন।
ট্রোলিংয়ের মোকাবিলা কেমনভাবে করেন নিয়া, সেই নিয়ে সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়ে ভেঙে পড়েন নিয়া। নিয়ার দাবি গত ১০ বছরে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে, কিন্তু মানুষের মানসিকতা এতটুকুও পালটায়নি।
নিয়া জানান, ‘পোশাকের জন্য আমাকে নিয়ে কোনওদিন কিছু ভালো কথা মানুষ বলেনি। আমি সেটা মেনেও নিয়েছি… এমনও বলা হয়েছে সংবাদ শিরোনামে থাকতে আমি জামাকাপড় খুলেছি! আ
রে ভাই এগুলো কোথা থেকে আসে, আমি দশ বছর ধরে আমি যথেষ্ট কাজ করছি এবং আমি যথেষ্ট ফেমাস, তাই জামা খুলে প্রচারের আলোয় থাকার কোনও দরকার আমার নেই। এটা মানুষজনকে বুঝতে হবে’।
ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় উষ্ণতার পারদ চড়িয়েছেন নিয়া, ‘ঝিল কে উস পার’ ছবির সুপারহিট গান ‘দো ঘুঁট মুঝে ভি’ গানের রিমিক্স ভার্সনের মিউজিক ভিডিয়োতে বম্বশেল অবতারে দেখা গিয়েছে নিয়াকে।
নিয়া জানান, ‘তাঁরা আমাকে স্লা;ট শেম করেছে, ন;গ্ন বলেছে, আরও অনেক অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেছে। মানুষজন সমালোচনা করে আমার পিছনে, আমি কেমন জামাকাপড় পরি সেই নিয়ে।
লোকজন কেন এটা বুঝতে চায় না, এটা আমার ব্যক্তিগত পছন্দ?’ ‘দো ঘুঁট’ গানের দৃশ্যায়নে খোলামেলা পোশাক পরেও ট্রোল হয়েছেন নিয়া। সেই ব্যাপারে নায়িকা বলেন, সেটা প্রোডাকশন টিমের সিদ্ধান্ত, সেখানে তাঁর কোনও হাত নেই।
‘এক হাজারো মে মেরি বহনা হ্যায়’ দিয়ে কেরিয়ার শুরু করা নিয়া পরবর্তীতে ‘জামাই রাজা’, ‘ইশক মে মরজাওয়ান’, ‘নাগিন’-সহ ছোটপর্দার একাধিক হিট শো-এর সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। রিয়ালিটি শো-এরও পরিচিত মুখ নিয়া শর্মা।
Leave a Reply