ইতিমধ্যেই আমরা নিশ্চয়ই গহনা বশিষ্ট্যকে চিনে ফেলেছি। যারা চেনেন না তাদের জন্য বলে দিই, সম্প্রতি যে সমস্ত ছবির জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল রাজ কুন্দ্রাকে, রাজের প্রোডাকশনে তিনটি ছবিতে কাজ করেছেন গহনা বশিষ্ট্য।
অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছবি শুটিং এবং গণ ধ’র্ষ’ণের মামলা চলছে। বেশ কয়েক মাস ধরে অভিনেত্রী জেল খাটছেন। আপাতত জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি। এসক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, শিল্পা শেটির স্বামীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ কোথায় হয়েছিল এবং আরো কিছু বৃত্তান্ত।
গহনা জানিয়েছেন, যেভাবে ছবিগুলিকে প’র্ন কনটেন্ট হিসাবে উল্লেখ করা হচ্ছে সেটা কিন্তু আসলে তা নয়। এগুলি বোল্ড ইরোটিক ফিল্ম। এর সঙ্গে নিষিদ্ধ ছবির বিস্তর ফারাক রয়েছে। ভুলভাবে মানুষের সামনে সমস্ত বিষয়টি নিয়ে আসা হচ্ছে।
আমি সাধারন মানুষকে বলতে চাই, যতক্ষণ আপনি ছবিগুলি না দেখছেন, ততক্ষণ কাউকে বিশ্বাস করবেন না। আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মানুষ অ্যাডাল্ট ছবি এবং নীল ছবির মধ্যে পার্থক্য করতে জানে। ছবিগুলি দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করুন।
তবে প’র্নফিল্ম এবং ইরোটিকের মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে একেবারে ন’গ্ন অবস্থায় সকলের সামনে চলে এলেন গহনা। সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইভে এসে ফ্যানদের উদ্দেশ্যে সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, আমাকে কি ভীষণভাবে অ’শ্লীল দেখতে লাগছে? আমাকে কি নীল ছবির নায়িকার মত দেখতে লাগছে? উত্তরে অনেকেই না বলেছেন।
তখন গহনা বলেন যে, আমি কিন্তু কিছু পরিনি এখন। আমার গায়ে সুতো পর্যন্ত নেই। কিন্তু শুট করার সময় সমস্ত পোশাক পড়ে থাকলেও আমাকে নগ্ন বলে চিহ্নিত করা হয়। এটাই তো হাইট অফ হিপোক্রেসি। আর কিছু প্রমাণ করার নেই আমার। আপনারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
তিনি মনে করেন না, রাজ কোন অন্যায় কাজ করেছেন। মানুষজনকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বারবার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানুষের কাছে সত্যিটা তুলে ধরতে হবে। জনসাধারণ আসল এবং নকলের পার্থক্য বুঝতে পারছে না। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে সত্য উদঘাটন হলে সকলে নিজের ভুল বুঝতে পারবে।