আবারও সেই #মিটু বিতর্ক উঠল বলিউডে। এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন মডেল-অভিনেত্রী মল্লার রাঠৌর।
তিনি বলেন, ৬৫ বছরের এক প্রযোজক তাঁকে উলঙ্গ হতে বলে। জামা-কাপড় খুললেই ছবি পাবেন! এমন শর্ত দেন তিনি। খুব অল্প বয়সেই এই জগতে পা রাখার স্বপ্ন দেখেছিলেন মল্লার।
সেই মতো এগোচ্ছিলেনও বটে। এমনকি ছোট-খাটো চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগও পেতে থাকেন তিনি। আর ঠিক এমনই সময় ডাক আসে বলিউডের এক পরিচিত প্রোযোজকের।
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে মল্লার জানালেন, ‘সালটা ২০০৮। তখন আমার বয়স অল্প ছিল। এক প্রযোজক আমায় ডাকেন। তিনি বলেন তাঁর ছবিতে আমার জন্য একটা রোল আছে। রোল পাওয়ার জন্য আমাকে নাকি বিবস্ত্র হতে হবে বলে জানান তিনি।
এরপর ওই প্রযোজক বলেন, চরিত্রটি করতে গেলে আমায় টপ খুলতে হবে। এমনকি তিনি শ্লীলতাহানি করার চেষ্টাও করেন। আমি কোনও ভাবে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হই।’ যদিও অভিনেত্রী সেই প্রযোজক নাম উল্লেখ করেননি।
তবে এর আগেও বলিউডে একাধিকবার এধরণের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক বলি অভিনেত্রীরা কাস্টিং কাউচের শিকার হয়েছিলেন। একে একে সবাই এই বিষয় নিয়ে মুখও খুলেছেন তাঁরা।
এক সাক্ষাতকারে জারিন খান বলেন, কোনও এক ছবির শ্যুটিংয়ের সময় পরিচালক তাঁকে চুম্বন দৃশ্যের জন্য জোর করছিলেন। যদিও তিনি সেই পরিচালকের নাম প্রকাশ্যে আনেননি।
উল্লেখ্য, #মিটু নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন বলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন তনুশ্রী।
২০০৯-এ ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির একটি গানের সময় অভিনেত্রী নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। আর এরপর থেকেই গোটা বলিউড নড়েচড়ে বসে। একে একে পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা, গায়ক সকলের নাম প্রকাশ্যে আসতে থাকে।
Leave a Reply