রাজনীতির ক্ষমতা ব্যবহার করা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা দেব!

হতাশ প্রযোজক দেব। ছবি প্রযোজনা করতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষাগুলি দেব পেয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম, বাংলা ছবির জন্য হল বুকিং নিয়ে লড়াই! আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবারের লাইভ অ-জানাকথায় হলমালিক ও ছবির ডিস্ট্রিবিউটরদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হিন্দি ছবির প্রতি তাঁদের পক্ষপাতিত্বের মুখোমুখি হওয়ার উদাহরণ দিলেন দেব।

জানালেন, প্রেক্ষাগৃহে নিজের ছবির জায়গা করে নিতে লড়াই করতে হয়। আর সেটা করতে গিয়েই তাঁকে শুনতে হয়েছে, ‘‘আমাকে জিজ্ঞাসা করে ছবি মুক্তির দিন ঠিক করেছ?’’ দেবের জবাব, ‘‘রণবীর সিংহের ৮৩ কি আপনাকে জিজ্ঞাসা করে মুক্তির তারিখ ঠিক করেছে? তা তো নয়। তা হলে বাংলা ছবির ক্ষেত্রেই কেন শুনতে হবে এ কথা?’’

দেব বলেন, ‘‘বাংলা ছবির বড় বড় ডিস্ট্রিবিউটররা হিন্দি ছবিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। আর আমি একমাত্র বাংলা ছবিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। প্রত্যেক দিন, প্রত্যেক মুহূর্তে এই লড়াই করতে হয় আমায়।’’ ‘

দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স’-এর কর্ণধারের প্রশ্ন, ‘‘বড়দিনে আমি আমার রাজ্যে একটি বাংলা ছবি মুক্তি দিতে পারব না? যদি এমন হত, আরও দু’টি বাংলা ছবি সে দিন মুক্তি পাচ্ছে, সেগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে, তা-ও নয়। বাংলা ছবিই নেই!’’

দেবের কথায় জানা যায়, এ ভাবে ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। তাঁর আক্ষেপ, বাংলা ছবিকে বাঁচাতে হলে, সবাইকে এক জোট হতে হবে। বড়দিনে তাঁর ছবি ‘টনিক’ মুক্তি পাচ্ছে।

সদ্যই সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া প্রযোজকের কথায়, ‘‘উইন্ডোজ হোক অথবা শ্রী ভেঙ্কটেশ, দেব এন্টারটেনমেন্ট হোক বা বেঙ্গল টকিজ, কেউই একা নিজের ভাষার বা নিজের রাজ্যের ছবির ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিতে পারবে না। একসঙ্গে সবাইকে লড়াই করতে হবে।’’

রাজ্যের শাসক দলের সাংসদ হয়েও হলের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয় দেবকে? রাজনৈতিক প্রভাব খাটান না তিনি? অ-জানাকথায় দেবের স্পষ্ট জবাব, ‘‘না, কোনও দিনই নিজের পদের সুবিধা নিইনি আমি।

এক বার সুযোগ নেওয়া শুরু হলে তার কোনও শেষ নেই। ওই নেশায় পা দিতে চাই না আমি। যদি কেউ বলেন, ‘দেব তাঁর সাংসদ-ক্ষমতার ব্যবহার করেন’, সেটি বড় যন্ত্রণার। তা ছাড়া, ভালবাসা দিয়ে মানুষের কাছাকাছি থাকতে চেয়েছি চির কাল। ওটাই আমার নেশা।’’

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *