১৯৫৪ সালের ২৮ মার্চ জন্ম হয়েছিল বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনমুন সেনের। তাঁর বয়স হয়েছে ৬৪ বছর।
কিন্তু এই বয়সেও রূপে ও গুণে তিনি এখনও টেক্কা দিতে পারেন যে কোনও সুন্দরীকে।
মহানয়িকা সুচিত্রা সেনের এক মাত্র মেয়ে মুনমুন সেন। অনেকে বলেন অভিনয়ে মায়ের সমান না হতে পারলেও সৌন্দর্যে মাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
মুনমুন সেনের কথা বলা থেকে চলা সবেতেই আছে এক মোহময়ী ছন্দ।
মুনমুন সেন শিলংয়ের লোরেটো কনভেন্টে পড়াশোনা করেন। ইংরেজি সাহিত্যে তাঁর আগ্রহ সবসময়ই বেশি।
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে কমপারেটিভ লিটেরেচারে এমএ করেন তিনি। ছোটবেলায় তিনি বিখ্যাত শিল্পী যামিনী রায়ের কাছে আঁকা শেখেন।
মুনমুন সেন ১৯৭৮ সালে ভারত দেব বর্মাকে বিয়ে করেন। তারপর রাইমা ও রিয়ার জন্মও দেন। তারপর তিনি ছবি করার জন্য বলিউডে পা রাখেন।
১৯৮৪তে হিন্দিতে রিলিজ হয়েছিল মুনমুন সেন অভিনীত ছবি ‘আন্দার বাহার’। তার আগে তিনি বাংলায় কয়েকটি ছবি করেছিলেন যেমন, ‘রাজবধু’, ‘রাজেশ্বরী’ নামের দুটি ছবি।
তবে শুধু হিন্দি বা বাংলায় নয় তেলেগু, মালায়াম, তামিল ও ইংরেজি ভাষাতেও মুনমুন সেন ছবি করেছেন। মায়ের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই সিনেমার সেটে যেতেন মুনমুন।
কোলে চড়ে ঘুরেছেন, উত্তমকুমার থেকে শুরু করে সৌমিত্র সকলের। সবার কাছেই ছিলেন খুব আদরের তিনি।
তাপস পাল, মিঠুন, অনিল কাপুর, জ্যাকি শ্রফের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে ছবি করেছেন তিনি।
২০১৪ সালে তিনি রাজনীতিতে আসেন। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে তিনি বাঁকুড়া থেকে লোকসভা ভোটে যেতেন।
এবার দাঁড়িয়েছেন আসানসোল থেকে। ৬৪ বছর বয়সেও জীবন ও দুই মেয়ে ও স্বামীকে সামলে তিনি মন থেকেই করছেন মানুষের সেবা।
রাজনীতিতেও তাঁকে মানুষ ভালবেসেছে। যেভাবে ভালবাসে সিনেমা প্রেমীরা।
মুনমুন সেন সব সময় ছটফটে মনের একটি মানুষ। আজ ৬৪ বছর বয়সেও মুনমুন সেনের মায়ায় বিভোর গোটা টলিউড।
Leave a Reply