উরফি জাভেদ চেয়েছিলেন নিজের পরিচয়ে পরিচিত হতে। কিন্তু একবিংশ শতকেও পুরুষ ও মহিলা নির্বিশেষে পদবীর প্রয়োজন হয়। শুধুমাত্র এই কারণেই উরফির দুবাই যাত্রা স্থগিত হয়ে গেল। সম্প্রতি উরফির দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। স্বচ্ছন্দে দুবাইয়ের রাস্তায় নিজের পছন্দের পোশাক পরে ঘুরতে পারতেন উরফি।
কারণ সেখানে মহিলাদের পোশাকের উপর জারি করা হয়নি গুচ্ছখানেক ফতোয়া। কিন্তু বাদ সাধল তাঁর পাসপোর্ট। জানা গিয়েছে উরফির পাসপোর্টে তাঁর নাম শুধুই ‘উরফি’ রয়েছে। কোনো পদবী নেই।
সৌদি আরব সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, যেসব ভ্রমণকারীর তরফে একটি মাত্র নাম, দ্বিতীয় নাম বা পদবী নেই, তাঁদের ট্যুরিস্ট ভিসা ও অন্য কোনো ভিসাই প্রদান করার অনুমতি নেই। উরফির পাসপোর্টেও একটি নাম থাকার কারণেই তাঁকে ভিসা প্রদান করেনি সৌদি আরব সরকার। তবে তারা জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমীরশাহিতে উরফিকে আসতে হলে তাঁকে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করতে হবে। অবশ্যই তাতে থাকতে হবে তাঁর নাম ও পদবী দুটোই।
এরপরেই নেটদুনিয়ায় আবারও সমালোচিত হচ্ছেন উরফি। নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, উরফি তো সেজেগুছে এয়ারপোর্ট যান। কিন্তু তিনি কি আদৌ ফ্লাইট ধরেন নাকি ঘুরে বেড়ান ও তারপর বাড়ি ফিরে আসেন! অনেকে লিখেছেন, ফ্লাইটের টিকিট কাটার সামর্থ্য নেই উরফির। অনেকে লিখেছেন, উরফি সেজেগুজে এয়ারপোর্টে ছবি তুলতে যান। দুবাইবাসী এক নেটিজেন সৌদি আরব সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দুবাই থেকে উরফিকে দূরে রাখার জন্য।
এর আগেও অবশ্য এই ধরনের কথা শুনতে হয়েছে উরফিকে। ট্রোলের যোগ্য জবাব দিয়েছেন তিনি। উরফি বলেছেন, যাঁরা মনে করেন, তাঁর ফ্লাইটের টিকিট কাটার সামর্থ্য নেই, তাঁরা হয়তো তাঁকে জানেন না। তাছাড়া তাঁদের নতুন করে বোকা বানাতে হবে না। তাঁরা আগে থেকেই গাধা।