আপাতত চলতি আইপিএলের সব ম্যাচই খেলা হয়েছে মুম্বই এবং পুণেতে। এই দুই জায়গাতেই নৈশালোকে ম্যাচ খেলার সবথেকে বড় সমস্যা হল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অত্যধিক শিশিরের উপস্থিতি।
যার বলে বোলারদের বল করতে যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। যে অধিনায়ক টস জিতছেন, তিনি স্বাভাবিকভাবে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
সম্প্রতি সিএসকে বনাম পঞ্জাব কিংস ম্যাচে ধারাভাষ্যকার ম্যাথু হেডেনকে বলতে শোনা যায়, এই ম্যাচের সত্যিকারের সেরা হলেন গ্রাউন্ডসম্যানরা।
এই খেলার সময়তেই ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে শিশিরের প্রভাব কাটাতে ‘অ্যাগ্রি স্প্রে’ ব্যবহার করেন মাঠকর্মীরা। পঞ্জাবের লিয়াম লিভিংস্টোন এই ম্যাচে সেরার পুরস্কার পান।
ম্যাচ শেষে তিনি মাঠকর্মীদের উদ্দেশ্যে এই ধন্যবাদজ্ঞাপক চিঠি লিখে যান। কার্যত শিশিরহীন পরিবেশে তিনি যে বল করতে পেরেছেন. তার কৃতিত্ব দেন মাঠকর্মীদের।
তিনি লেখেন, শিশির প্রতিরোধকারী ‘এপিএসএ-৮০’ এই ‘অ্যাগ্রি স্প্রে’ ব্যবহারের ফলেই শিশিরের প্রভাব অনেকাংশে কাটানো সম্ভব হয়েছে। এই কেমিক্যালটি মূলত ব্যবহার করেন কৃষকরা।
ফলন বাড়াতে এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উপমহাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যের ফলে অনেক সময়তেই ফ্লাডলাইটে আউটফিল্ডে ভেজাভাব বেড়ে রায়। মহারাষ্ট্রে এর আগে যত ম্যাচ খেলা হয়েছে সবকটিতেই কমবেশি প্রভাব বিস্তার করেছে শিশির।
সিএসকে, লখনউয়ের বিরুদ্ধে ২১০ রান করেও ম্যাচ হারার পরে সিএসকের প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং বলেছিলেন, যা শিশির পড়ছে মনে হচ্ছে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের জল। সেই শিশির এফেক্ট সিএসকে বনাম পঞ্জাব ম্যাচে কাটানো সম্ভব হয়েছে মাঠকর্মীদের ‘অ্যাগ্রি স্প্রে’ ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে।