কয়েক মাস আগে নেটদুনিয়ায় জবা ওরফে পল্লবী শর্মা এবং বাংলাদেশের গায়ক নোবেল – এর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল দুজনের গলায় মালা। নোবেলের পরনে পাঞ্জাবি ও পল্লবীর পরনে কমলা রঙের শাড়ি। নোবেল-জবার বিয়ে কবে হল, এই প্রশ্নে ভরে উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট বক্স।
এই ছবিটি ছিল প্রকৃতপক্ষে একটি মিম। জবা হল স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘কে আপন কে পর’-এর নায়িকা। চার বছর ধরে চলেছিল ‘কে আপন কে পর’। সিরিয়ালে কাজের মেয়ে জবার বিয়ে হয়েছিল সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে পরমের সঙ্গে।
পরমের সঙ্গে বিয়ের পর পড়াশোনা শিখে জবা আইনজীবি হয়ে যায়। এত অবধি সব ঠিক ছিল। কিন্তু চরম বিপদের সময় মাথা ঠান্ডা রেখে কাঁচি দিয়ে বোম নিষ্ক্রিয় করে জবা। নেটদুনিয়ায় জবার নাম হয়ে যায় অ্যামিবা। সেটি একটি বিশেষ সময়।
সেই সময় জা এবং জামাইয়ের হাতে হাড়িকাঠে জবার ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে মারা যায় জবা। কিন্তু তারপরেই মাত্র একটা পাতলা ব্যান্ডেজের সাহায্যে ধড়ের সঙ্গে মাথা জুড়ে , অন্তত তখন সবার তাই মনে হয়েছিল, ফিরে এসেছিল জবা।
এরপরেই সবাই বলতে থাকেন জবা সেই অ্যামিবা নামক এককোষী প্রাণীর মতো যাকে মেরে ফেলা অসম্ভব। কিন্তু নিজেকে নিয়ে এইধরনের ট্রোল ও মিম দেখে কেমন লাগে জবা ওরফে পল্লবীর?
পল্লবী জানিয়েছেন, তিনি একা থাকতে বেশি পছন্দ করেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন না তিনি। কিন্তু প্রতিবেশী ও বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে তিনি জবার মিম ও ট্রোল সম্পর্কে জানতে পারেন।
এমনকি যে নোবেলের সঙ্গে তাঁর মিম বানানো হয়েছে, তাকে তিনি চেনেন না। পল্লবীর কোনো আপত্তি নেই ‘জবা’ চরিত্রটি নিয়ে মিম বানানোয়। তাঁর মতে, ইদানিং ধারাবাহিকে নারী চরিত্র গুরুত্ব পায়। ফলে দর্শকদের সঙ্গে অনায়াসেই তাঁদের একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে হাসি-মজা হতেই পারে। তা নিয়ে ক্ষতি নেই। কারণ এর মাধ্যমেই সেই নারী চরিত্র দর্শকদের মনে বেঁচে থাকে।