২০১১ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ২৭৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। রান তাড়া করতে নেমে ৩১ রানে ২ উইকেট পড়ে যায় ভারতের।
সেখান থেকে দলকে জেতান গম্ভীর ও ধোনি। গম্ভীর ৯৭ রান করে আউট হন। ধোনি ৯১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
একসঙ্গে জাতীয় দলে দীর্ঘ দিন খেলেছেন। আইপিএলেও এক দলের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। মাঠের ভিতরে বরাবর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বড় অস্ত্র ছিলেন হরভজন সিংহ। কঠিন পরিস্থিতিতে স্পিনারের উপরেই ভরসা করতেন অধিনায়ক।
বহু ম্যাচে অধিনায়কের ভরসার দাম দিয়েছেন হরভজন। কিন্তু সেই ভাজ্জিই প্রশ্ন তুললেন ধোনির ব্যাটে ভর করে ভারতের বিশ্বকাপ জয়কে। তাঁর প্রশ্ন, ধোনি কি একাই বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন? তা হলে বাকি ক্রিকেটাররা সেখানে কী করতে গিয়েছিলেন?
সম্প্রতি আইপিএলের একটি টেলিভিশন শোয়ে শ্রেয়স আয়ারকে নিয়ে কথা বলছিলেন ভারতের আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ। তিনি বলেন, ‘‘শ্রেয়স ২০২০ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ফাইনালে তুলেছিল। তার পরেও দল ওকে ধরে রাখেনি। তাই দিল্লির বিরুদ্ধে কলকাতার হয়ে ভাল খেলার চেষ্টা করবে শ্রেয়স।’’
এই কথার জবাবে হরভজন বলেন, ‘‘আমি একটা কথা বুঝতে পারি না। শ্রেয়স দিল্লিকে ফাইনালে তুলেছিল? তা হলে বাকি ক্রিকেটাররা কি ডাংগুলি খেলতে গিয়েছিল?’’ তার পরেই ২০১১ সালের বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ তোলেন ভাজ্জি। তিনি বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিতলে বলা হয় অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিতেছে।
কিন্তু ভারত বিশ্বকাপ জিতলে বলা হয় ধোনি বিশ্বকাপ জিতেছে। তা হলে বাকি ১০ জন কি ওখানে লস্যি খেতে গিয়েছিল? গৌতম গম্ভীর কী করছিল? বাকিরা কী করছিল? যখন সাত-আট জন ক্রিকেটার ভাল খেলে তখনই দল জেতে।’’
২০১১ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ২৭৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। রান তাড়া করতে নেমে ৩১ রানে ২ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। সেখান থেকে দলকে জেতান গম্ভীর ও ধোনি। গম্ভীর ৯৭ রান করে আউট হন। ধোনি ৯১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ধোনিকে ম্যাচের সেরা বাছা হয়। কিন্তু অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারের মতে গম্ভীরকে ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা উচিত ছিল। সেই বিতর্ক আরও এক বার চাগিয়ে তুললেন ভাজ্জি।