তিনি জানান, ২০১৭ সালে বীরভূমের সাঁইথিয়ার যুবক কৃষ্ণগোপাল দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু তেমন কোনও কাজ কর্ম করতেন না যুবক।
শাশুড়িকে নিয়ে পালাল ঘরজামাই। ঘটনা হাওড়ার লিলুয়া থানার জগদীশপুরে। মা ও স্বামীর শাস্তি চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়ে। ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরাও।
প্রিয়াঙ্কা দাস নামে ওই তরুণী জানিয়েছেন, শনিবার তাঁর স্বামী কৃষ্ণগোপাল দাসের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন মা শেফালি দাস। ফোন করে বাড়িতে সেকথা জানিয়েছেন তিনি। এর পর লিলুয়া থানায় মা ও স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়াঙ্কা।
তিনি জানান, ২০১৭ সালে বীরভূমের সাঁইথিয়ার যুবক কৃষ্ণগোপাল দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু তেমন কোনও কাজ কর্ম করতেন না যুবক। এর পর তাঁকে জগদীশপুরে ডেকে আনেন বাবা।
সেই থেকে ঘরজামাই থাকতেন ওই যুবক। এরই মধ্যে শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এই নিয়ে গত সপ্তাহে বাড়িতে তুমুল অশান্তি হয়। থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়াঙ্কা। এর পর কৃষ্ণগোপালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিন পেয়ে সাঁইথিয়া ফিরে যান তিনি।
শনিবার শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে পালান কৃষ্ণগোপাল। এর পর ফোন করে সেকথা বাড়িতে জানান শেফালিদেবী। তবে তাঁরা কোথায় রয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর দাবি, মা ও স্বামীর শাস্তি চাই।