পরণে ব্রালেট, লাল-সাদা শাড়ি, জঘন্য পোশাকে মা দুর্গা রূপে শুভশ্রীকে দেখে রেগে আগুন ভক্তরা

মহামায়ার প্রথম ঝলক যখন প্রকাশ্যে এসেছিল তখন শুভশ্রীকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিল ভক্তরা। দেবী দূর্গার অবতারে লাল পাড় সাদা শাড়ি, কপালে বড় লাল টিপ, সাদা চন্দনে, হাতে লাল আলতা, নাকে বড় নথ। দেবী দূর্গার বেশে শুভশ্রীকে দেখে এককথায় হতবাক হয়েছিল ভক্তরা। কিন্তু মহালয়া দেখার পরই বেলা বাড়তেই শুরু হল সমালোচনা।

গতকাল থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে। মা আসছেন। ইতিমধ্যেই দেবী দূর্গার আগমনে চারিদিকে যেন সাজো সাজো রব। করোনাকালে মহাসঙ্কটের মধ্যেও যেন খুশির রেশ বাঙালির মনে। বাংলা চ্যানেল গুলোর তরফে প্রতিবারই মহালয়া নিয়ে শুরু হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কিছু না কিছু চমক থাকে চ্যানেলগুলিতে। টলিপাড়ার স্বনামধন্য মুখকেই রাখা হয় মা দুর্গা অবতারে।এবারও ঠিক তেমনটাই ছিল। জি- বাংলার এবারের মা দুর্গা হয়েছিলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় ।

জি-বাংলার সমস্ত নায়িকাদের দেখা গিয়েছিল মায়ের নানা রূপে। দেবীর নানা রূপ নিয়ে তৈরি করেছিলেন নানা রূপে মহামায়া। যেখানে মা আদ্যাশক্তির বেশে দেখা মিলেছিল শুভশ্রীর। মহামায়ার প্রথম ঝলক যখন প্রকাশ্যে এসেছিল তখন শুভশ্রীকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিল ভক্তরা। দেবী দূর্গার অবতারে লাল পাড় সাদা শাড়ি, কপালে বড় লাল টিপ, সাদা চন্দনে, হাতে লাল আলতা, নাকে বড় নথ। দেবী দূর্গার বেশে শুভশ্রীকে দেখে এককথায় হতবাক হয়েছিল ভক্তরা। কিন্তু মহালয়া দেখার পরই বেলা বাড়তেই শুরু হল সমালোচনা।

সদ্য মা হওয়ার পর লম্বা একটা বিরতি নিয়ে কাজে ফিরেছেন শুভশ্রী। সেই কারণেই তাকে নিয়ে উৎসাহ বেশি ছিল দর্শকদের মধ্যে। কিন্তু মহালয়া দেখে হতাশ হয়েছেন ভক্তরা। নেটিজেনদের দাবি, নাচের প্রায় সবকটি বিট মিস করেছেন শুভশ্রী। চোখে মুখের এক্সপ্রেশনও একদম খারাপ। তারপর শুভশ্রী পোশাক থেকে শুরু করে ভিএফএক্স নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ বলেছেন এটা মহালয়া নয় এটা নৃত্যনাট্য। না কোনও অভিনয়,না কিছু।

একের পর এক অভিনেত্রীরা আসছেন নাচ করছেন চলে যাচ্ছেন। তবে সবথেকে বেশি সমালোচিত হয়েছে শুভশ্রী পোশাক এবং এক্সপ্রেশন। এমন পোশাকে জঘন্য মা দুর্গা জন্মেও দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। আজকের প্রজন্ম আর কিছুই শিখতে পারবে না এই মহালয়ার অনুষ্ঠান দেখে, তেমনটাই মত সাইবারবাসীর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*