টলিউডের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বর্তমানে তিনি দর্শকদের কাছে একজন নায়িকা নন দিদি হিসেবে পরিচিত। কারণ তারা সকলেই জানান জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দিদি নাম্বার ওয়ানে সঞ্চালিকা তিনি।
বাবার মৃত্যুর পর প্রথমবার একটি নিউজ চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রচনা জানালেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কথা। তিনি কি আদৌ ডিভোর্সি নাকি সেপারেটেড! মুখ খুললেন রচনা।
90 দশকে মিস ক্যালকাটা উপাধি লাভ করেছেন। তারপর অভিনয় জগতে পদার্পণ করেছেন রচনা। বাংলা তামিল তেলেগু হিন্দি মালালাম মিলিয়ে অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন।
ওড়িয়া ছবির সুপারস্টার সিদ্ধান্তের সঙ্গে পরিচয় হয় ছবির সূত্র ধরেই। মাত্র এক বছর প্রেম করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। কিন্তু রচনার উঠতি ক্যারিয়ার, তখন অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সূর্যবংশম ছবিতে নাম লিখিয়েছেন। কিন্তু স্বামীর নিষেধাজ্ঞা ওড়িয়া ছাড়া অন্য কোনো ছবিতে অভিনয় করা যাবে না।
নিষেধ না মেনে সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী। এরপর বেশ কয়েকবছর একাই ছিলেন তিনি। একের পর এক সুপার হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শককে। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে তেমন প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়নি অভিনেত্রীর।
এরপর বাড়ি থেকে দেখেশুনে সাহারা গ্রুপের কর্ণধার প্রবাল বসু সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রচনা। তাদের একটি পুত্রসন্তান প্রনিল। কিন্তু বেশ কয়েক বছর আগে একটি পার্টিতে আলাদা ভাবে দেখা যায় দুজনকে।
তখনই গুজব উঠেছিল একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকছেন অভিনেত্রী। এবার তিনি জানালেন আসল কারণ, ছেলের ভবিষ্যতের কারণেই তাকে নিয়ে মায়ের কাছেই থাকেন তিনি। তবে শামীর ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি অভিনেত্রী।
দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসে দিদিদের জীবন সংগ্রামের কথা শুনে, রচনা বহুবার ইমোশনাল হয়ে পড়েছেন। অনেকের মতে নিজের সংসারের কথা ভেবেই আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
2019 সালে ভুবনেশ্বরে একটি অ্যাওয়ার্ড শো তে গিয়ে প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে একই মঞ্চে নাচ করতে দেখা যায় রচনাকে। বর্তমানে সিদ্ধান্তের এক ছেলে ও মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তার স্ত্রী একজন অভিনেত্রী ও সাংসদ।