দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী বলে পরিচিত রিয়াজ ভাটি। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগ তুলেছেন তাঁর স্ত্রী রেহনুমা ভাটি। মুম্বাই পুলিশের কাছে করা আবেদনে স্বামীর বিরুদ্ধে করা তাঁর অভিযোগে উঠে এসেছে আরও বড় সব নাম।
অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া, সাবেক পেসার মুনাফ প্যাটেল ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ক্রিকেটার বা রাজনীতিবিদ—কেউই মন্তব্য করেননি এখনো। রেহনুমার আবেদনের পক্ষে এখনো প্রমাণ মেলেনি বলে জানানো হয়েছে।
রেহনুমা ভাটি বলেছেন, তাঁর দাবি নাকি আমলেই নিচ্ছে না পুলিশ। দ্য প্রিন্ট পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি পুলিশের কাছে এফআইআর করার চেষ্টা করছি, কিন্তু তারা কোনো সাহায্য করছে না। আমি গত সেপ্টেম্বরে আবেদন করেছি, এখন নভেম্বর চলছে। আমি পুলিশ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। আমাকে ঘুষ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমি কেন দুর্নীতি বাড়াব? আমি আমার জায়গায় ঠিক আছি। ওরাই তো সন্ত্রাসী।’
এ ব্যাপারে পুলিশের সহকারী কমিশনার মঞ্জুনাথ সিংহেকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্বীকার করেছেন, একটি আবেদন তাঁদের কাছে আছে। তবে ‘এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলার মতো কোনো তথ্য নেই’ তাঁর কাছে।
এদিকে সমিত থাক্কার নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী রেহনুমা ভাটির সেই আবেদনের ছবি তুলে পোস্ট করেছেন। ছবিগুলোয় দেখা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর করা সেই আবেদনে তাঁর স্বামী রিয়াজ ভাটি, ব্যবসায়ী পৃথ্বীরাজ কোঠারি, হার্দিক পান্ডিয়া, মুনাফ প্যাটেল এবং কংগ্রেস নেতা ও বিসিসিআইয়ের সাবেক চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তাঁর বিধবা মাকে হুমকি দিয়ে রেহনুমাকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন রিয়াজ ভাটি। তাঁর দাবি, নিয়মিত অত্যাচার করা হতো তাঁকে। ব্যবসায়িক সঙ্গীদের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পাঠানো হতো। তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করা হতো। বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে অত্যাচার করা হতো।
ভুক্তভোগী আরও বলেছেন, একটি কন্টিনেন্টাল হোটেলে ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী মুনাফ প্যাটেলের সঙ্গে রাত কাটাতে বাধ্য করা হয়েছিল তাঁকে। আর ২০১৪-১৫ সালে ট্রাইটেন্ড নামে এক হোটেলে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, পান্ডিয়া তাঁর দুই বন্ধুকে নিয়ে তাঁর সঙ্গে অস্বাভাবিক সব যৌনাচার করেছেন। এ সময় ওই তিনজনই মদ্যপ ছিলেন।
অভিযোগপত্রে রেহনুমা বলেছেন, কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে আপত্তি জানিয়েছিলেন। এ কারণে শুক্লা ও তাঁর বন্ধুরা তাঁকে মারধর করেছেন। এমনকি তাঁদের সামনে নগ্ন হয়ে নাচতে বাধ্য করা হয়েছিল তাঁকে। এরপর গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন শুক্লা ও তাঁর বন্ধুদের হাতে।
ভুক্তভোগীর দাবি, ২০১২-১৩ সালের সেই ঘটনার ছবি ও ভিডিও করে তাঁকে নিয়মিত ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে।
এ ছাড়া ওই আবেদনপত্রে রেহনুমা দাবি করেছেন, এমন অত্যাচারের কারণে ২০১৬ সালে তিনি রিয়াজ ভাটির থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালে তাঁকে আবার অপহরণ করেছিলেন রিয়াজ ভাটি। কথা না শুনলে তাঁকে ও তাঁর দুই সন্তানকে খুন করার হুমকি নাকি দেওয়া
Leave a Reply