আশি এবং নব্বই এর দশকে বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন তাপস পাল। বাংলা ছবিতে তিনি ছিলেন ঠিক যেন পাশের বাড়ির ছেলে।
দাদার কীর্তি ছবির মাধ্যমে টলিউডে ডেবিউ করেন তিনি, এরপর একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জীত চক্রবর্তীর সাথে পাল্লা দিয়ে একের পর এক ছবি করে গিয়েছেন নিজের কেরিয়ারে।
২০০১ সাল থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন তাপস পাল। কৃষ্ণনগর থেকে লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন দুবার। ২০২০ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি মাত্র ৬১ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন অভিনেতা।
১৯৮৫ সালে নন্দিনী পালকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাদের সোহিনী পাল নামে এক মেয়ে রয়েছে। বাবা মারা যাওয়ার পর বর্তমানে মা কে নিয়েই সংসার সোহিনীর।
বাবার মতো সোহিনীও কিন্তু অভিনয় জগতেরই মেয়ে। ২০০৪ সাল থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন তিনি। সোহিনীর প্রথম ছবি ছিল ‘বউ ব্যারাক্স ফরএভার’।
এরপর আরও কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন সোহিনী। কৌশিক গাঙ্গুলির ছবি ‘জ্যাকপট’এও অভিনয় করেছেন সোহিনী। বাবাকে খুব ভালোবাসতেন সোহিনী। বাবার সাথে তার মুখের মিলও রয়েছে খানিকটা।
মুম্বাইয়ে যখন তাপস পাল মেয়ে সোহিনীর কাছে থাকতেন তখন সেখানে তিনি নিজের হাতে মেয়েকে খাওয়াতেন। নিজের হাতে ব্রেকফাস্ট বানিয়ে মেয়েকে খাওয়াতেন।
একবার এক সাক্ষাৎকারে তাপস পাল মেয়ের সম্বন্ধে বলেছিলেন যে, ‘পাখির মত মেয়ে আমার, টুকটুক করে কথা বলে’। শেষ জীবনেও মুম্বাইতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তাপস পাল। সেখানে মেয়ে সোহিনীই বাবার সব দেখাশোনা করতেন।
Leave a Reply