স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় টলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। মাত্র আঠারো বছর বয়সে প্রমিত সেন এর সাথে স্বস্তিকার অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ হয়েছিল। কেন এত তাড়াতাড়ি স্বস্তিকার পরিবার তাঁর বিয়ে দিয়েছিলেন তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু বিয়ের পর কিছুদিন সব ঠিকঠাক থাকলেও স্বস্তিকার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়।
ততদিনে কন্যাসন্তান অন্বেষার জন্ম দিয়েছেন তিনি। একসময় মেয়েকে নিয়ে সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসতেন বাধ্য হন স্বস্তিকা। প্রমিতের সাথে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর স্বস্তিকার জীবনে এসেছেন একাধিক পুরুষ। কিন্তু একটা সময়ের পর সব সম্পর্কেই ইতি টেনেছেন তিনি। অন্বেষা এখন ঝলমলে টিনএজার। তিনি মনে করেন, মায়ের জীবনে একটু মশলার দরকার রয়েছে। ফলে স্বস্তিকা যা কোনোদিন করেননি, তা করেছেন অন্বেষা। ডেটিং অ্যাপে মায়ের অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তিনি।
সাম্প্রতিক কালে একটি রেডিও চ্যানেলে আরজে স্তুতির সাথে নিজেই এই ঘটনা শেয়ার করেছেন স্বস্তিকা। তিনি মুম্বইয়ে থাকাকালীন ডেটিং অ্যাপ ‘হিঞ্জ’-এ অন্বেষা নিজের মায়ের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। এমনকি সেই অ্যাপের যাবতীয় কর্মকান্ড স্বস্তিকার নামে অন্বেষাই সামাল দিতেন। এমনকি তিনিই লিখেছিলেন, স্বস্তিকার কেমন পুরুষ পছন্দ! মায়ের সম্ভাব্য প্রেমিকের প্রস্তাবে অন্বেষাই করেছেন ‘রাইট সোয়্যাপ’। এখানেই শেষ নয়। স্বস্তিকার নামে খোলা অ্যাকাউন্ট থেকে সেই পুরুষদের সাথে চ্যাট করতেন অন্বেষা।
তবে স্বস্তিকা বা অন্বেষা কেউই কখনও ওই পুরুষদের সাথে ডেটে যাননি। কিন্তু এই ঘটনায় দুজনেই যথেষ্ট মজা পেয়েছেন। এই প্রসঙ্গে স্বস্তিকা জানালেন, অন্বেষা তাঁকে বলেছেন, তাঁর জীবনে একটু স্পাইস দরকার, অ্যাকশন দরকার। কিন্তু কলকাতায় ফেরার সময় অন্বেষা মাকে বলেন, ওই ডেটিং অ্যাপের প্রোফাইল থেকে লগ আউট করতে। কারণ কলকাতার মানুষ হয়তো জেনে যাবেন এই আইডি-র কথা। তাছাড়া ওই অ্যাপে রয়েছে কিছু মেকানিজম। উপরন্তু স্বস্তিকা এই ধরনের অ্যাপ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নন। কিন্তু কলকাতায় ফিরে এয়ারপোর্টে মোবাইল সুইচ অন করতেই প্রায় সত্তরটি মেসেজ ঢোকে ওই অ্যাপের মেসেঞ্জারে।
তৎক্ষণাৎ অ্যাপটি মোবাইল থেকে স্বস্তিকা আনইনস্টল করে দিলেও প্রোফাইলটি থাকার কারণে তাঁর ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুকে স্বস্তিকাকে সচেতন করে প্রচুর মেসেজ করেন তাঁর অনুরাগীরা। তাঁরা জানান, একটি ডেটিং অ্যাপে স্বস্তিকার নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।