নব্বইয়ের দশকে গোটা বলিউড জুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর। কাপুর পরিবারের মেয়ে হওয়ার কারণে অভিনয় জগতটা খুব অচেনা ছিল না অভিনেত্রীর কাছে ফলে বলিউডে পা রাখতে কিছুদিনের মধ্যে হয়ে উঠেছিলেন সেকালের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন।
১৯৯১ সালে ‘প্রেম কয়েদি’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার বলিউডে ডেবিউ করেন অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর। এরপর একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।
কিন্তু বলিউডে একজন সুদক্ষ অভিনেত্রী হিসেবে পরিচয় পাওয়ার পর হঠাৎ করেই বলিউডকে বিদায় দেন অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর। তবে অভিনেত্রীর জীবন ক্যারিয়ার যতোটা উজ্জ্বল ছিল ততটাই রহস্যে ভরপুর তার ব্যাক্তিগত জীবন।
জানা যায় একসময় অমিতাভ বচ্চনের বৌমা হওয়ার কথা ছিল কারিশমার। এমনকি অভিষেক বচ্চনের সাথে বিবাহও ঠিক হয়েছিল তার সাথে। কিন্তু অজানা কোনো কারনে ভেঙ্গে যায় তাদের সম্পর্ক।
এরপর ২০০৩ সালে দিল্লির এক ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুর কে স্বামী হিসেবে বেছে নেন অভিনেত্রী। এরপর বেশ কয়েক বছর সংসার করেন দুজনে। কিন্তু ২০১০ সালে তাদের দুজনের সম্পর্কের চিড় ধরতে শুরু করে এবং নিজের ছেলে এবং মেয়ে কে নিয়ে মুম্বাই ফিরে আসেন অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর। এর বছর চারেক পর ডিভোর্স ফাইল করেন তিনি।
ডিভোর্সের জন্য আবেদন করার সময় তাঁর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, তার শ্বশুর বাড়ির লোক তার ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। এমনকি শাশুড়ির কথায় কারিশমা কাপুর কে চড় মেরেছিলেন সঞ্জয় কাপুর।
একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় হানিমুনে নাকি কারিশমা কাপুর কে নিলামে তুলেছিলেন তার স্বামী। বন্ধুর সাথে সঞ্জয় কাপুর নাকি রাত কাটাতে বাধ্য করেছিলেন অভিনেত্রী কে,সেটার প্রতিবাদ করাতে মারও খেতে হয়েছিল করিশমাকে। কিন্তু নিজের বিরুদ্ধে হওয়া সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেন সঞ্জয় কাপুর এবং পাল্টা অভিনেত্রী বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন।
টাকার লোভে তাকে বিয়ে করেছিলেন কারিশমা। দুজনের ডিভোর্সের পর তাদের ছেলে মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকেন কারিশমা কিন্তু তাদের সাথে দেখা করার অধিকার রয়েছে সঞ্জয়ের। বর্তমানে অভিনেত্রী একজন সিঙ্গেল মাদার হিসেবে নিজের ছেলে মেয়েকে মানুষ করে তুলছেন। কিন্তু বলিউডে আর ফেরেননি তিনি। তবে মাঝে মধ্যেই বেশ কিছু ব্র্যান্ডের এডে তার মুখ দেখা যায়।