গোপন তথ্য ফাঁস করিনার, ৫মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময় ও মেটাতে বাধ্য হয়েছিলেন আমিরের দাবি

অভিনয় তার জাতে, তাই একাধিক হিট ছবি রয়েছে তার ঝুলিতে। বয়স পেরোলেও এখনও এভারগ্রীন কাপুর কন্যা বেবো। চলতি বছর দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নবাব ঘরনী করিনা কাপুর খান।

সন্তান জেহ যখন করিনার শরীরে, সেই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই সহ অভিনেতা আমির খান এর চাহিদা পূরণ করেছিলেন করিনা কাপুর। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সেই কথাই প্রকাশ করেছেন।

কাপুর পরিবারের সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আবদ্ধ আমির খানের পরিবার। অভিনেতা সাইফ আলী খানের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই পতৌদি পরিবারের সঙ্গেও বেশ ভালোবাসা আমির খানের। সেই সূত্রে আমিরের সঙ্গে সিনেমা জুটি বাঁধতে বেশ স্বচ্ছন্দ বোধ করেন বেবো।

সিনেমায় যে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে করিনার সাথ দিয়েছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে করিনা আমিরের ছবি “লাল সিং চাড্ডা”। এই ছবির অনেক দৃশ্য কলকাতায় শুট করা হয়েছে। সেই ছবিতে সই করার দিন কয়েকের মধ্যেই নিজের গর্ভ অবস্থার কথা জানতে পারেন অভিনেত্রী করিনা। সব বাধা অতিক্রম করে শুটিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

এদিকে 5 মাস ভ্রূণের বয়স হতেই, ডাক্তারের করা সতর্কবার্তা কোন ভারী কাজ করা যাবে না। এমনকি শুটিং বন্ধ রাখতে হবে আগামী ছয় মাসের জন্য। শর্ত মেনেই বিশ্রামের প্রস্তুতি শুরু করেন নবাব বধু।

ছবির পরিচালক কে অনুরোধ করেন তাকে বাদ দিয়ে শুটিং চালানোর জন্য। সবাই মেনে নিলেও বাধ সাধেন স্বয়ং আমির। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন নায়িকা না থাকলে তার পক্ষে অভিনয় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে ছবিকে। তাই যেভাবে হোক করিনাকে চালিয়ে যেতে হবে শুটিং। প্রয়োজনে বিশ্রাম নেবেন ছবির সেটেই।

একে সিনিয়র অভিনেতা অন্যদিকে পরিবারের ঘনিষ্ঠতা সবকিছু মিলিয়ে চাপের মুখে পড়লেন করিনা। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই আমিরের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয় তাকে। ওই কঠিন অবস্থায় একদিনের জন্যও শুটিং বাদ পড়েনি তৈমুরের মায়ের। নিজের খেয়াল রেখেই চালিয়ে একটার পর একটা শট দিতে হতো।

অবশেষে শুটিং শেষ হল,করিনা জন্ম দিলেন একটি সুস্থ সবল শিশুর। এতদিন পর সে কথাই মজার ছলে জানালেন করিনা। যদিও এই খবর জানতেই আমিরের উপর যথেষ্ট রেগে যান নেটিজেনরা। একজন হবু মায়ের উপর কিভাবে জোর খাটাতে পারলেন অভিনেতা! প্রশ্ন নেটিজেনের

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *