কাজের সময় মনে হয়নি আমি ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা ’পটল’!

অভিনেত্রী হিয়া দেবেশ কয়েক বছর ধরেই যুক্ত রয়েছেন গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে। স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পটল কুমার গান ওয়ালার’ হাত ধরেই শুরু হয়েছিল তার অভিনয় জগতে হাতের খড়ি। জীবনের প্রথম ধারাবাহিক-এর জন্যই চুল কাটতে হয়েছিল ছোট্ট এক রত্তিকে। সেই ধারাবাহিকে চুল কেটে মেয়ে থেকে ছেলে সাজতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। ধারাবাহিক ‘পটল কুমার গানওয়ালা’ শেষ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর হয়ে গিয়েছে। মাঝে কেটে গিয়েছে প্রায় সাত সাতটি বছর। বর্তমানে অভিনেত্রী একজন যুবতী।

ছোটপর্দা পার করে অভিনেত্রী সুযোগ পেয়েছেন বড় পর্দায়। পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষ-এর হাত ধরে অভিনেত্রী করে ফেলেছেন নিজের প্রথম ছবি নির্ভয়া। একজন ধর্ষিতা অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে তাঁকে। যদিও বিষয়টি আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় বেশ কঠিন। এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে সবচেয়ে কোনটি বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল অভিনেত্রী হিয়ার কাছে! এর উত্তর দিয়েছেন সরাসরি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে। সেই বিখ্যাত সংবাদমাধ্যমের ফোন-ইন-সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে অভিনেত্রী হিয়া দের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা।

আগামী হাজার ১৯ শে নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে অভিনেত্রী অভিনীত নির্ভয়া। যেখানে অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন কিশোরী মেয়ে পিয়ালির চরিত্রে। পিয়ালী ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এই মুহূর্তে এর থেকে বেশী আর কিছু জানাতে চাননি অভিনেত্রী।

তবে এমন চরিত্রের অফার পেয়ে অভিনেত্রীর মনে প্রথমে ঠিক তেমন প্রভাব পড়েছিল তা জানাতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, “বড় চ্যালেঞ্জ। একটু দ্বিধাতেও ভুগেছি এক দম শুরুতে। তার পরে মনে হয়েছে, আমায় করতে হবে। কারণ, এই ধরনের চরিত্র চট করে পাওয়া যায় না। চিত্রনাট্য শোনার পরে মনের জোর আরও একটু বাড়ল। মা অবশ্য জানতে চেয়েছিলেন, পারবি তো? বলেছিলাম, ঠিক পারব।”

এরূপ দৃশ্যে প্রথমেই অভিনয় করার জন্য অভিনেত্রীকে কোন অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কিনা তা জিজ্ঞেস করায় অভিনেত্রী বলেছেন, “শ্যুটিংয়ের সময় একটা কথাই মাথায় থাকত, অভিনয় যেন নিখুঁত হয়। তাই চারপাশে কে দেখল, কী বলল? কিচ্ছু মাথায় রাখতাম না। এ ভাবেই আমার অংশের দৃশ্য অভিনয় করেছি।”

সাধারণত এই ধরনের চরিত্র করতে গিয়ে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর মনে মানসিক চাপ তৈরি হয়। তবে এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর বক্তব্য, “অভিনয়ের সময়টুকু ‘পিয়ালি’-র কথা ভাবতামই না। তাই মনে কোনও চাপ পড়েনি। অংশুমান প্রত্যুষ বলে দিয়েছিলেন, সব সময় ইতিবাচক থাকতে। পিয়ালিকে ভুলে থাকতে। নইলে সত্যিই হয়তো সারাক্ষণ মনখারাপে ভুগতাম।”

বর্তমানে অভিনেত্রী সিক্সে পড়ছেন। বড় হয়েছেন তিনি। বড় হওয়ার সাথে সাথেই মেয়েদের নিরাপত্তাজনিত নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। অভিনেত্রী ঠিক কি কি সর্তকতা অবলম্বন করেন কিংবা কোনো বাড়তি সর্তকতা নেন কিনা তাও উল্লেখ করেছেন সেই সাক্ষাৎকারে। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী সংযোজন, “সময় চোখ-কান খোলা রাখি। একমাত্র পরিবারের লোকজন ছাড়া বাকিদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করি। লোক বুঝে মিশি। মা-বাবাও অনেক কিছু বলে বা বুঝিয়ে দেন। তার পরেও বলব, মেয়েদের ছোট থেকেই ‘ভাল স্পর্শ’, ‘খারাপ স্পর্শ’ সম্বন্ধে সজাগ করে দেওয়া তাদের পরিবারের কর্তব্য। এটা হলে মেয়েরা দ্রুত পরিবেশ, পরিস্থিতি সম্বন্ধে সজাগ থাকতে শেখে।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *