কলকাতায় ছড়িয়ে পর্নোগ্রাফির জাল, নিউটাউন পর্নকাণ্ডে গ্রেফতার নায়িকা ও ফটোগ্রাফার

পর্ন ভিডিও শুটকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা রয়েছে মুম্বইতে। তবে শুধু মুম্বই নয়, পর্নোগ্রাফির রমারমা রয়েছে কলকাতাতেও। শহরের বুকেও রমরমিয়ে চলছে এই ব্যবসা। বৃহস্পতিবার নিউটাউন পর্নকাণ্ডের দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পর্ন নায়িকা নন্দিতা দত্ত, ফটোগ্রাফার মৈনাক ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষকেও। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি অভিযুক্তদের সঙ্গে রাজ কুন্দ্রার যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কীভাবে টার্গেট করা হত উঠতি মডেলদের?

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উঠতি মডেলদের টার্গেট করা হত। বিদেশের ওটিটি অ্যাপে বা কোনও টেলিভিশনে সুযোগ দেওয়ার নাম করে ডাকা হত হোটেলে। এরপর সেখানেই জোর করে হুমকি দিয়ে পর্ন ভিডিও শুট করা হত। জানা গিয়েছে, নিউটাউনের একটি থ্রি স্টার হোটেলে রমরমিয়ে এই ফাঁদ পেতে বসেছিলেন অভিযুক্তরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, মূলত এই চক্রটি চালাতেন নন্দিতাই। মৈনাক ভিডিও করতেন। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে তাঁরা উঠতি মডেলদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তারপর দীর্ঘক্ষণ ধরে চলত শুটিং।

এমনই পর্নোগ্রাফি চক্রের শিকার হয়েছিলেন দুই যুবতী। নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁরা। পুলিশকে জানান, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও কার্যত হুমকি দিয়ে তাঁদের অশ্লীল ভিডিও শুট করা হয়েছিল।

ভিডিও তোলার পরে একাধিক পর্ন সাইট ও মোবাইল অ্যাপে সেগুলি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ‘নিউ ফ্লিক্স’অ্যাপে নিজেদের ভিডিও দেখতে পান তাঁরা। তারপরই নিউটাউন থানায় অভিযোগ জানান তাঁরা।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। এক্ষেত্রে সাহায্য় নেওয়া হয় সাইবার ক্রাইম বিভাগের‌ও। অভিযুক্তদের মোবাইল নম্বরের লোকেশন দেখে তাঁদেরকে ট্র্যাক করে পুলিশ। তারপরই গতকাল দমদম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে শুধু নন্দিতা ও মৈনাক নন এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আরও অনেকে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তাঁদের নামও উঠে আসবে। গতকালই ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হয়। তাঁদের চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এদিকে পর্ন ভিডিও শুটকে কেন্দ্র করে উত্তাল মুম্বই। গ্রেফতার করা হয়েছে শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে। বোম্বে হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।

ধীরে ধীরে এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের একাধিক নাম সামনে আসছে। আর এই কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক মডেলকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *