দিদি নাম্বার ওয়ানের তুমুল জনপ্রিয়তার পর রচনা ব্যানার্জি নিজের কিছু গড়ে তোলার ভাবনা ভেবেছেন।
তাইতো পুজোর আগে তিনি সদ্য নিজের বুটিক খুলে ফেলেছেন। সেখানে মহিলাদের শাড়ি পাওয়া যায়। সঙ্গে পুজো উপলক্ষে পাওয়া যায় শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং গহনা, তাও আবার রচনা ব্যানার্জীর পছন্দ করে দেওয়া! একেবারে ফ্রী!
এমন সুযোগ কার্যত লুফে নিয়েছেন দিদির অনুরাগীরা। প্রথম প্রথম অবশ্য দিদির শাড়ির দাম নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন কেউ কেউ। তবে প্রথম থেকেই মহিলাদের সমর্থন পেয়েছেন রচনা।
মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই তার ব্যবসা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তিনি সকলের শাড়ির অর্ডার নিয়ে উঠতে পারছেন না। সম্প্রতি ‘দি ওয়াল’ পত্রিকায় শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শাড়ির ব্যবসা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রথম মুখ খুললেন তিনি।
দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালিকা হয়েও শাড়ির ব্যবসা করার কি দরকার? প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। রচনা জানাচ্ছেন, “সবাই বলছিল আমার নিজের কিছু একটা করা উচিত ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ তো আছেই।
কিন্তু একদম নিজের কিছু যদি তার পাশাপাশি করা যায় তাহলে কেমন হয়। অনেক বন্ধু বলল রেস্টুরেন্ট করতে কিন্তু আমি দেখলাম তাতে অনেক হ্যাপা আছে।”
রেস্টুরেন্ট খুললে তার তদারকি করা রচনা পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠতো না। তাই তিনি এমন বিকল্প ব্যবসার কথা ভাবছিলেন যা বাড়িতে বসেই করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই ‘রচনা’স ক্রিয়েশন’ এর যাত্রা হলো শুরু।
এই শাড়ির ব্যবসা খুলে প্রথম দিনেই নেট মাধ্যমে ব্যাপক ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল রচনা ব্যানার্জিকে। অনেকেই দাবি করেছিলেন রচনা তার সেলিব্রিটি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে অত্যধিক চড়া দামে শাড়ি বিক্রি করছেন।
কেউ কেউ তো এমনও বলছিলেন যে গড়িয়াহাটে এমন শাড়ি অনেক কম দামে পাওয়া যায়! সেই সম্পর্কে দি ওয়ালের কাছে রচনা বলেন, “যে কোনও মানুষের যখন নাম হয় তখন তার বদনামও হয়। আর বদনাম শব্দটার মধ্যেও কিন্তু নাম রয়েছে।”
ট্রোলারদের উদ্দেশ্যে বলতে গিয়ে রচনা আরও বলেছেন, “এদের আমার কিছু বলার নেই। এদের কমেন্টের জবাব আমি ফেসবুকে লাইভে এসেও দিই না। এখানেই বলছি প্রথম। যাঁরা নেওয়ার তাঁরা ঠিক রচনা’স ক্রিয়েশনের শাড়ি নেবে।
যাঁরা শাড়ি কেনেন তাঁরা জানেন কোন শাড়ির কত দাম হওয়া উচিত। যদি খুব বেশি দামি শাড়ি হতো তাহলে মানুষ আমার থেকে শাড়ি নিতেন না। অথচ আমি মানুষকে সাপ্লাই দিয়ে উঠতে পারছিনা।”
রচনার কথায়, “একশো জন মানুষের মধ্যে পাঁচটা মানুষ খারাপ কথা রটাবে, নব্বইটা মানুষ ভালো কথা বলবে। তো পাঁচটা মানুষের কথা আমি শুনবো না, শুনি না। বলছে বলুক, কি যায় আসে!”
রচনা জানিয়েছেন, তার কাছে ১২০০ থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত শাড়ি আছে। অনেক সেলিব্রিটি বুটিকে এই সুবিধা পাওয়া যায় না।
তিনি সকলের কথা ভেবেই এই ব্যবসা শুরু করেছেন। আপাতত তাই রিয়েলিটি শো’য়ের সঞ্চালনা এবং বুটিকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত রচনা। বুটিকের জন্য শাড়ি তিনি নিজে গিয়ে বেনারস থেকে কিনে আনেন।
এভাবেই সঞ্চালনা এবং ব্যবসা নিয়ে মেতে থাকতে চান রচনা ব্যানার্জী। এই মুহূর্তে ছবিতে অভিনয় করার কোনও ইচ্ছে নেই তার।
অভিনেত্রীর কথায়, “আর আমার ছবি করার ইচ্ছে নেই। কোন ফিল্মই আমি আর করতে চাই না। অভিনয় জগতে আর ফিরতে চায় না আমার নায়িকাসত্বা।”
কারণ হিসেবে জানালেন, “আমার ছবি করার ইচ্ছে নেই, সময়ও নেই। দিদি নাম্বার ওয়ান করার সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যবসা সামলে আমার পক্ষে আর ছবি করা সম্ভব নয়।”
Leave a Reply