‘‘এখনও বাবা চলে যাওয়ার শোক ভুলতে পারিনি। তার মধ্যেই এমন অমানবিকতার শিকার”- লাইভে এসে কেঁদে কেঁদে অভিমানী শ্রীলেখা

এই বছরের পুজোর ঠিক আগেই বাবা সন্তোষ মিত্রকে হারিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র। তার পরেই বেশ কিছু দিন তিনি দূরে ছিলেন ফেসবুক থেকে। মানসিক দিক থেকেও বিপর্যস্ত অভিনেত্রী।

তাঁর প্রতি পোস্টে বাবাকে হারানোর হাহাকার। তার মধ্যেই শুক্রবার ফের আবাসনের প্রতিবেশীদের আক্রমণের শিকার তিনি। কারণ, তাঁর সারমেয়প্রীতি। তারা হুমকি দিয়েছেন, শ্রীলেখা যদি কুকুর পোষা বন্ধ না করেন তা হলে তাঁর বাড়ির সামনে সবাই আবর্জনা ফেলবেন। বিষ খাওয়াবেন তাঁর পোষ্যদের!

পড়শিদের অতর্কিত রূঢ় আচরণে নতুন করে যেন রক্তাক্ত অভিনেত্রীর মন। তিনি পুরো ঘটনা জানিয়েছেন লাইভে। অঝোরে কেঁদেছেন। প্রতি কথায় তাঁর তীব্র অভিমান। পড়শিদের প্রতি অভিযোগ।

স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘এখনও বাবা চলে যাওয়ার শোক ভুলতে পারিনি। তার মধ্যেই এই আচরণ। এমন অমানবিকতার শিকার। আমায় একাধিক জন অকারণে কটূক্তি করলেন। অথচ আবাসনের কেউ আমায় সমর্থন জানালেন না।’’

‘রেনবো জেলি’র ‘পরি পিসি’ জানিয়েছেন, আবাসনের মানুষেরা মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছে তাঁকে, তাঁর পোষ্যদেরও। এদের সবাইকে তিনি প্রতিষেধক দিয়েছেন। এরা কেউই কামড়ায় না। তবু সবাই বিরূপ। এত নেতিবাচক আচরণ পেতে পেতে তিনি ক্লান্ত। খুব শীঘ্রই হয়তো আবাসন ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হবেন, এমনও জানান তিনি।

শ্রীলেখার আরও অভিযোগ, কিছু দিন আগেই এক পথপশুর দত্তক নেওয়াকে কেন্দ্র করে নেতিবাচক আচরণের সাক্ষী তিনি। নাম না করে শশাঙ্ক ভাভসারের সঙ্গে তাঁর ডেটের কথাও বলেন। জানান, তাই নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। যদিও দত্তক সারমেয় অকালেই প্রাণ হারিয়েছে।

অভিনেত্রীর দাবি, তিনি যা করেছেন বা করছেন তা কেবল অবলা পশুদের জন্যই। এখানে তাঁর কোনও স্বার্থ নেই। শ্রীলেখার এই লাইভ দ্রুত অনুরাগীদের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। একাধিক জন তাঁকে সমর্থন করেছেন। শান্ত ভাবে লড়াই করার পরামর্শও দিয়েছেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*