উপরে ঢাকা নীচে ফাঁকা! উরফি জাভেদকে দেখে চমকে গেলেন সকলে

বিতর্ক-সমালোচনা ও উরফি জাভেদ , যেন পৃথিবীর এক মেরুতেই অবস্থান তাদের। তিনি যেখানেই যান, যাই করুন, যেভাবেই করুন, সামাজিক মাধ্যমে তিনি বরাবর এক উষ্ণ ‘সেনসেশন’। তাই বি-টাউনের এই মডেলের নাম থাকে ‘পেজ-থ্রি’-র উপরের দিকেই। তার একটাই কারণ- ভারতীয় নারীদের পোশাকের ট্যাবু ভাঙা। প্রায়ই নানারকমের ছকভাঙা পোশাকে ক্যামেরায় ধরা দেন এই মডেল। কখনো শামুকের খোলক, কখনো খবরের কাগজ, কখনো আবার পোশাক না পড়ে শুধুমাত্র খাবার প্লেট ও গ্লাস দিয়েই নিজের গোপন স্থানগুলি আড়াল করেন তিনি। আর এই নিয়ে চর্চার শেষ নেই।

তবে এবার উরফি যা করলেন, তো ছাপিয়ে গেল সবকিছু। একদিকে শালীনতা, অন্যদিকে নগ্নতা- এই মিশেল লুকে এবার ধরা দিলেন এই মডেল। কিন্তু এ কিভাবে সম্ভব! শুনে বা ভেবে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনটাই করে দেখিয়েছেন এই মডেল। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। আর এই ভিডিওতেই রয়েছে চমক।

কারণ প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে তার পরনে রয়েছে এক হোটেল বা বিমানসেবিকার পোশাক। গায়ে ফুলস্লিভ সাদা শার্ট, গলায় বাঁধা শর্ট টাই, নিম্নাঙ্গে কালো স্কার্ট। মুখে মানানসই মেকআপ, ঠোঁটে ডার্ক রেড লিপস্টিক, পরিপাটি করে বাঁধা চুল। ঠিক যেন তিনি তৈরি ডিউটি জয়েন করার জন্য। কিন্তু তার পিছনের আয়নায় ধরা পড়েছে এই লুকের আসল চমক। সামনে এই পোশাক থাকলেও পশ্চাদপ্রদেশ এক্কেবারে উন্মুক্ত। আয়নায় দেখা গেছে পিঠ থেকে পা অব্দি এক্কেবারে বেআব্রু হয়েছেন এই মডেল। শুধু দেখা যাচ্ছে কালো অন্তর্বাসের ইলাস্টিক।

এই পোস্টের ক্যাপশনও বেশ নজরকাড়া। ক্যাপশনে উরফি লিখেছেন, ‘এখানেই শেষ’। কিন্তু কি শেষ হওয়ার কথা বলেছেন তিনি, তা স্পষ্ট নয়। যদিও এই পোস্টেও তার দিকে উড়ে এসেছে তির্যক মন্তব্যের ঝড়। কেউ কেউ প্রশংসা করলেও অনেকেই তার প্রতি বিরূপ মন্তব্যই করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘পোশাক পরতে হলে ভালোভাবে পরো, এভাবে পরার কি আছে’; অন্যজন লিখেছেন, ‘এর কি মাথায় গোলমাল আছে’; আরেকজনের মতে, ‘সামনের পোশাকটুকু পরার দরকারই কি ছিল’।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে পোশাক বিতর্ককে ঘিরে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিলেন এক রাজনৈতিক নেত্রী। যদিও শালীনতার সীমা বজায় রেখেই তিনি এসব করছেন বলে জানায় প্রশাসন। তবে এসবে বিশেষ আমল দেননা এই মডেল, তিনি থাকেন নিজের মতোই।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *