প্রেমিক যুগলের বিভিন্ন সময়ে ঘটনা আমরা দেখে থাকি অনেক সময় হয়তো তারা নিজেদের প্রেম-ভালোবাসার জানান দেন বিভিন্নভাবে এবং ফটোশুটের মাধ্যমে নিজেদের এ/কা/ন্ত সময় কা/টা/নো/র মু/হূ/র্ত/গু/লো ধরে রাখতে ভুল করেন না তবে ভারতে ঘটেছে একটি ঘটনা সেখানে দেখা দিয়েছে এক দম্পতি বিয়ের পর তারা খো/লা/মে/লা ফটোশুট করছেন তবে এ ব্যাপারে তাদের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয় এবং তারা বলেন যে আমাদের যেমন ইচ্ছা কেমন ভাবে ফটো শুট করবো
বিয়ের পর /অ/ন্ত/র/ঙ্গ ছবি দিয়ে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল ভারতীয় এক দম্পতি। শালীনতার মধ্যে তারা তুলে ধরেছেন একজন যুবক আর একজন যুবতীর চিরকাঙ্খিত ভালবাসা। তবে তাকে কেউ কেউ বাঁকা চোখে দেখছেন। তাই নিয়ে চলছে ট্রল। এতে অবশ্য ওই যুগলের কিছু এসে যায় না। কেরালার এই যুগলের নাম লক্ষ্মী আর হ্রুশি কার্তিক। তাদেরকে দেখা যায় একটি চা বাগানের ভিতর দিয়ে একে অন্যকে জ/ড়ি/য়ে ধ/রে রেখেছেন। তাদের ওপরে শুধু সাদা একটি সিল্কের আবরণ।
শ/রী/রে/র অন্য কোথাও কোনো /কা/প/ড় আছে কিনা তা বোঝা দায়। একে অন্যকে এভাবে জ/ড়ি/য়ে থাকা নিয়ে নানা রকম কথা চারদিকে। কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন, সাদা ওই সিল্কের পরে কোনো আবরণ আছে, নাকি সবটাই উ/দো/ম। লক্ষ্মী আর হ্রুশি কার্তিকের বিয়ে হয় সেপ্টেম্বরে এক ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। তারপরই তারা সিদ্ধান্ত নেন, যেহেতু বিয়েতে বড় আয়োজন সম্ভব হয়নি, তাই তারা বিয়ে বা বিয়ের পরবর্তী দিনগুলোপকে স্মরণীয় করে রাখবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। লক্ষ্মী বলেছেন, পারিবারিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে তাদের বিয়ে। লক্ষ্মীর বাড়ি কেরালার আর্নাকুলামে। তিনি বলেন, গত বছর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দেখাশোনা। তারপর তারা বিয়ের তারিখ ঠিক করেন। এরপরই দু\’জনে একে অন্যের প্রেমে পড়ে যাই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
হ্রুশি একটি টেলিফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। লক্ষ্মী সবেমাত্র ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। গত এপ্রিলে তারা বিলাসী এক আয়োজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারী সব শেষ করে দিয়েছে। মার্চের শেষের দিকে দেশজুড়ে লকডাউন দেয় ভারত। সব রকম সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। তবে লকডাউন শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোটখাট আয়োজনের বিয়ে অনুমোদন দেয়া হয়। ফলে আর দেরি করতে রাজি নন লক্ষ্মী আর হ্রুশি কার্তিক। তারা ১৬ই সেপ্টেম্বর বিয়ের দিন ধার্য করেন। এদিনই কোল্লাম শহরের একটি মন্দিরে তাদের বিয়ে হয়। লক্ষ্মী বলেন, আনন্দঘন বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সেটা। কারণ, এতে শুধু পারিবারিক বন্ধু ও কিছু ঘ/নি/ষ্ঠ বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ আমাদেরকে মাত্র ৫০ জন অতিথির অনুমতি দিয়েছিল। এ ছাড়া ছিল নানা রকম বিধিনিষেধ। হয়ে গেল বিয়ে।
তবে এই যুগল তাদের বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি ফটোস্যুটের সিদ্ধান্ত নেন। হ্রুশি চেয়েছিলেন তাদের বিবাহ পরবর্তী ফটোশুট হবে রো/মা/ন্টি/ক ও অ/ন্ত/র/ঙ্গ, তাই তিনি ইন্টারনেট ঘাঁটেন এবং নতুন নতুন ও যথার্থ কিছু আইডিয়া পেয়ে যান। তার বন্ধু অখিল কার্তিকিয়ান। তিনি ভাল ছবি তোলেন। তিনিই তাকে সহায়তা করেন। তারা তাকে ভাড়া করেন চায়ের বাগানে। হোটেলরুমে। সেখানেই ফটোশুটে অংশ নেন লক্ষ্মী আর হ্রুশি কার্তিক। লক্ষ্মী বলেন, সে ছিল আনন্দের বেলা। আমাদের মাঝে ছিল হাসিখেলা। আমরা ছিলাম উ/দ্বে/লি/ত। এটা ছিল আসলে আমাদের হানিমুনের অংশ। যেহেতু আমরা সবেমাত্র বিয়ে করেছি, মনে হচ্ছিল এখন আমরা মুক্ত। বিবাহিত নরনারীর মধ্যে যেমন /যৌ/ব/ন/কে উপভোগের উপলক্ষ্য থাকে আমাদের মধ্যে তার চেয়ে কম কিছুই ছিল না।
এরপরেই ওই ফটোশুট। অখিল সেইসব ছবি পোস্ট করলো ফেসবুকে। সঙ্গে সঙ্গে নানা রকম মন্তব্য। কেউ একে কু/ৎ/সি/ত বলছেন। কেউ বলছেন বে/লে/ল্লে/প/না। কেউ বলছেন, ল/জ্জা/শ/র/মের মা/থা খেয়েছি। কেউ কেউ তো একে /প/র্নো/গ্রা//ফি/ও অ/ভি/ধা/য় অভিহিত করলো। আবার কেউ বললো এটা ক/ন/ড/মে/র বিজ্ঞাপন কিনা। কেউ কেউ তাদেরকে একটি রুম বেছে নিতে বললেন। লক্ষ্মী বলেন, দু\’দিন ধরে এভাবে অপমানজনক মন্তব্য আসতে লাগলো। লোকজন বলতে লাগলো, আমরা /ন/গ্ন/তা/কে ফুটিয়ে তুলেছি। লক্ষ্মী বলেছেন, বেশির ভাগ অপমানসূচক কথাবার্তা এসেছে তাকে লক্ষ্য করে। তার ভাষায়, এটা আমার জন্য ছিল খুব লজ্জার। আমার স্বামীর চেয়ে আমাকে নিয়ে লোকজন বা/জে/ ক/থা বলা শুরু করলো। তাদের কেউ কেউ আমাকে /প/র্নো/ ছবিতে অভিনয় করতে বললো। এতে লজ্জায় জ্বলে যা/চ্ছিল গা।
কয়েকদিন পরের কথা। এবার লোকজন কার্তিককে সমর্থন করে মন্তব্য করতে লাগলো। তারা কার্তিককে সমর্থন করলো। তারা এসব ছবিকে বিস্ময়কর এবং চমৎকার বলে মন্তব্য করলো। সমালোচনাকে মাথায় না নেয়ার পরামর্শ দিল। একজন নারী লিখেছেন, যখন তারা বিয়ে করেন তখন স্বামীর হাত ধরে হাঁটার মধ্যে মানুষ /ন/গ্ন/তা/ দেখেছে। অনেকে অনেক কথা বলেছে। লক্ষ্মী বলেন, আমাদেরকে লক্ষ্য করে যারা ট্রোল করছিলেন তাদেরকে চিনি না। আমাদেরকে যারা সমর্থন করছিলেন তাদেরকেও চিনি না। এক পর্যায়ে দেখা গেল আমাদের অভিবাবকরাও হতাশ। আমরা তাদেরকে বোঝালাম। বললাম, এটা /ন/গ্ন/টা/ নয়। এক পর্যায়ে তারা বুঝলেন। আমাদেরকে সমর্থন দিলেন। কিন্তু আমরা পশ্চিমা ধারায় যাচ্ছি বলে কিছু আত্মীয় আমাদের সমালোচনা করলেন। তাদের কেউ কেউ আমাদেরকে ফোন করে জানতে চাইলেন, এমন ছবির কি দরকার। আমরা কি আমাদের সংস্কৃতিকে ভুলে যাচ্ছি?
অনেকেই তাদেরকে ছবিগুলো সামাজিক ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলতে বললেন। পারিবারিক হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তাদেরকে বাদ দেয়া হলো। তা সত্ত্বেও ওই ছবি নেট থেকে সরিয়ে নিতে রাজি নন লক্ষ্মী আর হ্রুশি কার্তিক। লক্ষ্মী বলেছেন, আমরা যদি ছবিগুলো প্রত্যাহার করি তাহলে তারা মনে করবে আমরা দোষী। অন্যায় করেছি। কিন্তু আমরা তো কোনো অন্যায় করিনি। এমনকি ওই ছবি তোলার সময় আমাদের শ/রী/রে পো/শা/ক ছিল, যেটা দেখা যায় না।
সম্প্রতি ভারতে খোলামেলা ফটোশুট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাড়া ফেলে দিয়েছিল এক দম্পতি সেখানে দেখা যায় বিভিন্ন পোজে দাঁড়িয়ে তারা ছবি তুলছে এবং সে ছবিগুলো বের তাদেরকে খো/লা/মে/লা অবস্থায় দেখা যায়। এ দম্পতির বাড়ি মূলত ভারতের কেরালায় এবং তাদের নাম লক্ষী আর হুসরি কাত্তিক
Leave a Reply