দর্শকের পাশাপাশি তারকাদের কাছ থেকেও প্রশংসা পাচ্ছেন রাশি। সামান্থা রুথ প্রভু, বরুণ ধাওয়ান, কীর্তি সুরেশ, চিরঞ্জীবীর মতো তারকারা তাকে ফোনে-মেসেজে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এমন সাড়া পেয়ে রাশি বললেন, ‘আমি সত্যিই অভিভূত। অনেক মানুষ আমাকে মেসেজ করছেন, প্রশংসা করছেন।
শুধু ভক্ত-দর্শক নন, ইন্ডাস্ট্রির অনেক মানুষও বলছেন। এর আগে এমনটা হয়নি আমার সঙ্গে। এটা অসাধারণ অনুভূতি।’ ‘ফারজি’ সিরিজের শুটিংয়ের সময়ই প্রত্যাশার পারদ উঁচুতে উঠেছিলো রাশি খান্নার। তার মতে, ‘এরকম রেসপন্স না পেলে আমি হতাশই হতাম। কারণ আমরা যখন শুটিং করছিলাম, তখনই মনে হচ্ছিলো একেবারে ব্যতিক্রম একটি কাজ করছি, যেটা আগে হয়নি।
প্রত্যেকের চরিত্রটি দারুণভাবে লেখা। আমার মনে হয়েছিলো, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে।’ নায়িকা থেকে চরিত্রাভিনেত্রী হয়ে ওঠার জন্য মেয়েদের অনেকখানি কষ্ট করতে হয় বলে জানান রাশি খান্না। তার ভাষ্য, ‘এটা প্রায় সব অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, তাদেরকে একই ধাঁচের চরিত্রে নেওয়া হয়। সুন্দরী-লাস্যময়ী তরুণীর ভূমিকায় অভিনয় করতে করতে তারা নিজেদের ভাঙতে পারে না।
ওই জায়গা থেকে ভিন্ন কিছু করাও কঠিন হয়ে পড়ে। বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করতে আমিও উপভোগ করি, কিন্তু আমি সবসময় চেয়েছি ব্যতিক্রম কিছু করতে। এজন্য সবার কাছে বলতাম, প্লিজ আমার অডিশন নিন। আমিও অভিনয় পারি। দর্শককে বলবো, আমাকে শুধু সুন্দরী মেয়ে হিসেবে দেখবেন না। এজন্য আমি আপনাকে দোষারোপ করছি না। কারণ নারীদের এভাবেই উপস্থাপন করা হয়।’