আপত্তিকর অবস্থায় ধরা খেল পুত্রবধূ, উত্তেজিত হয়ে পুত্রবধূ ও তার প্রেমিককে একি করলেন শ্বশুর।

ছেলের অবর্তমানে প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছেলের বউ। আর সেই অবস্থায় ওই যুগলকে দেখে ফেলে শ্বশুর। হাতের সামনে থাকা কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে দুই জনকেই খুন করে পালিয়ে গেল ওই বৃদ্ধ। যার জেরে এলাকা জুড়ে ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য।

শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি অন্ধপ্রদেশের কুরনুল জেলার ভেলুগদু মণ্ডলের সিপি নগর এলাকায়। পুত্রবধূ এবং তাঁর প্রেমিককে হত্যা করার পরেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত শ্বশুর। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়ুলটি ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পাশাপাশি দু’জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্যও পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্ত বৃদ্ধের নাম রামানিয়া। তার ছেলের নাম মল্লিকার্জুন। মৃত মহিলার নাম চিন্নি এবং তার প্রেমিক অবুলেসু। চিন্নি ছিল মল্লিকার্জুনের দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী জীবিত রয়েছেন। সেই অবস্থাতেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল মল্লিকার্জুন।

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল মল্লিকার্জুন। এরকম মাঝেমধ্যেই তিনি আগের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। এদিকে, দ্বিতীয় স্ত্রী প্রেমিক অবুলেসু পেশায় ঠিকা শ্রমিক। মল্লিকার্জুনের বাড়িতেও কাজ করেছিলেন ২৫ বছর বয়সি ওই যুবক। সেই সময়েই চিন্নির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়। বিষয়টি জানতে পেরেছিল শ্বশুর রামানিয়া। দুই জনকেই সাবধানও করেছিল সে। কিন্তু বৃদ্ধের কথায় কর্ণপাত করেননি তাঁরা। নিয়মিত তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। সেই সঙ্গে সুযোগ পেলেই ঘনিষ্ঠ হত তাঁরা।

আরও জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতের দিকে তেমনই স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়েছিল চিন্নি। প্রেমিক অবুলেসুকে ডেকে নেয় বাড়িতে। একান্তে সময় কাটাচ্ছিলেন দু’জনে।

সেই সময়েই ওই যুগলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে মল্লিকার্জুনের বাবা রামানিয়া। মাথায় যেন রক্ত চড়ে গিয়েছিল তার। হাতের সামনে থাকা কুড়ুল দিয়েই হামলা চালায় ওই যুগলের উপরে। কুপিয়ে খুন করে তাঁদের। পুত্রবধূ এবং তার প্রেমিকের মৃত্যু নিশ্চিত হতেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় রামানিয়া। এই ঘটনায় ওই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত বৃদ্ধের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*