আইপিএলে কবে ঘুরে দাঁড়াবে মুম্বই, পাঁচ ট্রফি, পাঁচ কোচ, পাঁচ ম্যাচ, শূন্য পয়েন্ট কী হল রোহিতের মুম্বইয়ের

দলের সঙ্গে মেন্টর হিসেবে জড়িয়ে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকরের মতো কিংবদন্তি। প্রতি ম্যাচে তাঁকে হাজির না থাকলেও চলে। কিন্তু প্রতিদিনই তিনি ডাগ আউটে হাজির থাকছেন। তরুণ ক্রিকেটারদের ঠান্ডা মাথায় পরামর্শ দিচ্ছেন।

আইপিএলের সব থেকে সফল দল তারা। পাঁচ বার ট্রফি জিতেছে। আইপিএলে যে কৃতিত্ব আর কোনও দলের নেই। কিন্তু সেই মুম্বই এ বারের আইপিএলে এসে যেন নিজেদের অতীত গরিমা ভুলে গিয়েছে।

নিলামে তাঁদের দল নির্বাচন দেখেই একটু সন্দেহ জেগেছিল আমজনতার মনে। আইপিএলে একের পর এক ম্যাচে তাদের ফলাফল যেন সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছে।

দলের সঙ্গে মেন্টর হিসেবে জড়িয়ে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকরের মতো কিংবদন্তি। প্রতি ম্যাচে তাঁকে হাজির না থাকলেও চলে। কিন্তু প্রতিদিনই তিনি ডাগ আউটে হাজির থাকছেন। তরুণ ক্রিকেটারদের ঠান্ডা মাথায় পরামর্শ দিচ্ছেন। অনুশীলনের সময় হাতে ধরে ব্যাটিং শিখিয়ে দিচ্ছেন।

এমনকী স্ট্র্যাটেজিক টাইম-আউটের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। হাতের সামনে এমন একজন ক্রিকেটারকে পেয়ে এমনিতেই আলাদা করে তেতে থাকা উচিত মুম্বইয়ের ক্রিকেটারদের। কিন্তু কারওর উপস্থিতিই তাদের চাগিয়ে তুলতে পারছেন না।

শুধু সচিন কেন, মুম্বই দলের সঙ্গে এমন কিছু প্রাক্তন ক্রিকেটার জড়িয়ে রয়েছেন, যাঁরা অতীতে সুনামের সঙ্গে খেলেছেন। কোচ হিসেবে রয়েছেন মাহেলা জয়বর্ধনে।

ব্যাটিং কোচ হিসেবে রয়েছেন রবিন সিংহ। বোলিং কোচ শেন বন্ড। ক্রিকেট অপারেশন্সের ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন জাহির খান। অর্থাৎ পাঁচ-পাঁচজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার দলের সঙ্গে যুক্ত থাকছেন। কিন্তু ‘দিশাহীন’ রোহিত কিছুতেই দলের সাফল্যের রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না।

পঞ্জাবের বিরুদ্ধে একটা সময় জেতার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়েছিল মুম্বই। দুই ওপেনার ভাল শুরু করেছিলেন। দু’টি উইকেট পরপর হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করে দেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস এবং তিলক বর্মা।

পরে সূর্যকুমার যাদবও দলকে জয়ের রাস্তায় পৌঁছে দিতে পারতেন। কিন্তু হঠাৎই অনভিজ্ঞদের মতো শট খেলতে গিয়ে আউট হলেন।

দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ভালই খেলেছিল মুম্বই। ১৫ কোটির মান রেখে দুরন্ত ইনিংস খেলেন ঈশান কিশন। কিন্তু অক্ষর পটেলের একটা ইনিংসে ম্যাচ হারে মুম্বই। পরের ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে জস বাটলারের শতরান প্রথমেই পিছিয়ে দেয় তাঁদের। এর পর কলকাতার বিরুদ্ধেও শেষ ওভারে গিয়ে হারতে হয়। পঞ্জাব স্কোরবোর্ডে বড় রান তুললেও জেতার জায়গা থেকে হেরে ফিরতে হল মুম্বইকে।

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স প্রতিটি ম্যাচেই কেউ না কেউ করে দিচ্ছেন। কিন্তু আইপিএলে ম্যাচ জিততে গেলে শুধু একজনকে পারফর্ম করলেই চলে না।

ব্যাটিং এবং বোলিং বিভাগ দু’টিকেই কাজে আসতে হয়। মুম্বই সেখানেই মার খাচ্ছে। যে দিন তাঁদের ব্যাটিং ভাল খেলছে সে দিন বোলাররা খারাপ বল করছেন। আবার উল্টোটাও হচ্ছে। অভিজ্ঞ অধিনায়ক রোহিত বিভিন্ন ভাবে দলকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখনও কোনও প্রচেষ্টাই কাজে লাগেনি।

আইপিএলে কবে ঘুরে দাঁড়াবে মুম্বই, সেটা হয়তো সময়েই বলবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *