মিঠাইয়ের শ্রীতামা দিদি ওরফে দিয়া মুখার্জি বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির খুব জনপ্রিয় একজন মুখ। অভিনয় দক্ষতা এবং কথা বলার ভাব ভঙ্গিতে দর্শকের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে ফেলেছেন অভিনেত্রী দিয়া মুখার্জি।
অভিনেত্রী দিয়া মুখার্জি এবং অভিনেতা অভিষেক বসুর প্রেম টলিপাড়ায় সর্ব মুখে মুখে চর্চিত ছিল। তবে হঠাৎই শোনা যায় তাদের সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরেছে। এই প্রথম নিজেদের বিচ্ছেদের ব্যাপারে মুখ খুললেন অভিনেত্রী দিয়া মুখার্জি। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেদের সম্পর্ক এবং বিচ্ছেদ নিয়ে অভিনেত্রী দিয়া মুখার্জি অকপটে জবাব দিয়েছেন।
‘সীমারেখা’-তে (২০১৭) ধারাবাহিকে অভিনয় করাকালিনীই একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেতা অভিষেক বসু এবং অভিনেত্রী দিয়া মুখার্জি। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল অভিনেত্রী এবং অভিনেতার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে। প্রথমে শোনা গিয়েছিল একে অপরকে ইনস্টাগ্রাম থেকে আনফলো করে দিয়েছেন তাঁরা।
বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী কিভাবে নিজেকে সামলেছেন এই প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “আমার মনে হয়, সামলানোর কিছু নেই। যা হয় ভালর জন্যই হয়। কোথাও নিশ্চয়ই সমস্যা হচ্ছিল বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি দু’জনে মিলে। তবে কয়েক মাস কেটে গিয়েছে এখন। অনেকটা সেরে উঠেছি। আমি আসলে খুবই আধ্যাত্মিক। যে কোনও ঘটনাকে মেনে নিতে পারি আমি। নিজেকে সে ভাবেই গড়ে তুলেছি।”
তবে যখন তিনি অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন সেই সময়ে তিনি অনেক কিছু শিখিয়েছেন অভিনেতার থেকে। অভিনেত্রীর কথায়, “অভিষেক অনেক ছোট থেকেই খুব আধ্যাত্বিক।” তাই সম্পর্কে থাকাকালীন অভিনেত্রী দিয়া মুখার্জি নিজের সামনে থেকে দেখেছেন তিনি বাড়িতে কতটা পূজা আচ্ছা নিয়ে থাকতে ভালোবাসেন।
সেই দেখতে দেখতে অভিনেত্রীর মনেও একসময় উৎসাহ জন্মে গিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি অতটা না হলেও বাড়িতে সবসময়ে পুজো-আচ্চা দেখেছি। মনের মধ্যে উৎসাহ জন্মে গিয়েছিল। তার পরে অভিষেকের সঙ্গে প্রেম করার পর ওর কাছ থেকে জীবনদর্শন এবং আধ্যাত্মিকতা নিয়ে আরও অনেক কিছু জানতে পারলাম। বিচ্ছেদ থেকেও যেমন অনেক কিছু শিখেছি, প্রেম করেও অনেক কিছু জানতে পেরেছি।”
কথা বলতে বলতে সংবাদমাধ্যমকে নিজেদের সম্পর্কের ভালো মুহূর্তের কথা গুলোও জানিয়েছেন। সবে মাত্র এক বছর হয়েছে অভিনেত্রী গাড়ি চালাতে শিখেছেন। গাড়ি চালানোর পরে কখনো অভিনেতার সাথে লং ড্রাইভে যেতে পেরেছেন কিনা সেই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে থেকে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “দিঘা, মন্দারমণি গিয়েছি আমরা।
তখনও আমি গাড়ি চালানো শিখিনি। ও-ই চালাত। যবে থেকে আমি শিখলাম, তার পর থেকে লকডাউন হয়ে গেল।” মাত্র ৬ বছর বয়স থেকেই অভিনেত্রী পা রেখেছিলেন রুপোলী জগতে।