‘মোহরা’ জুটির অনস্ক্রিন রসায়ন ছিল যথেষ্ট স্টিমি। কিন্তু অফস্ক্রিনও রবীনা ট্যান্ডন ও অক্ষয়কুমার-এর অফস্ক্রিন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল যা বর্তমানে কারও অজানা নয়। রবীনা জানতেন, অক্ষয় ছিলেন রীতিমত ‘উওম্যানাইজার’। তবু রবীনা তাঁর সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে তাঁদের প্রেমের সূত্রপাত হয়।
তবে সেই সময় রবীনা ছাড়াও অন্য কয়েকজন বলিউড নায়িকার সাথে সম্পর্কে ছিলেন অক্ষয়। কিন্তু রবীনা তা জানতে পারলে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন অক্ষয়। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে রবীনার সাথে অক্ষয়ের বাগদান হয়। কিন্তু বাগদান হওয়ার পর টুইঙ্কলর সাথে অক্ষয়ের সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে পারেন রবীনা। ভেঙে যায় তাঁদের বাগদান।
সেই সময় টুইঙ্কলের একের পর এক ফিল্ম ফ্লপ করছে। অনেকেই বলতেন, তাঁকে দেখতে রবীনার মতো। কিন্তু অক্ষয়ের সাথে সবেমাত্র টুইঙ্কলের প্রেমের সূত্রপাত হয়েছিল রবীনার সাথে তাঁর বাগদান যখন ভাঙে। পরবর্তীকালে টুইঙ্কলকে বিয়ে করেন অক্ষয়। রবীনাও বিয়ে করেন শিল্পপতি অনিল থাডানিকে। উভয় জুটির সন্তানও রয়েছে। কিন্তু এতগুলি বছর পেরিয়েও অক্ষয়ের সাথে রবীনার বাগদানের কথা চর্চিত হয় ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। এই প্রসঙ্গে রবীনা জানিয়েছেন, প্রত্যেকের জীবনেই এই রকম সম্পর্ক আসে। কিন্তু এত বছর পেরিয়েও ইন্ডাস্ট্রি একটা সামান্য বাগদানকে ভুলতে পারছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রবীনা।
তবে তিনি জানালেন, অক্ষয়ের সাথে তাঁর সম্পর্ক বর্তমানে অনেকটাই সহজ। তাঁরা সকলে মিলে গল্প করেন। রবীনা ও অক্ষয় নিজেদের মতো করে নিজেদের জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন। এমনকি ব্রেক-আপের পরেও রবীনা এই বাগদান নিয়ে ভাবেননি। তাঁদের নিয়ে কোথায় কি লেখা হচ্ছে তাও পড়তেন না তিনি।
রবীনার মতে, ইদানিং কলেজে মেয়েরা প্রতি সপ্তাহে বয়ফ্রেন্ড পাল্টান, বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই হয়ে যায় বিবাহ বিচ্ছেদ। ফলে অক্ষয়ের সাথে তাঁর অতীতকেও ভুলে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।